ইভিএম নিউজ ব্যুরোঃ এ যেন বোঝার ওপর শাকের আঁটি। গত দশবছর ধরেই গুজরাতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারাম বাপুর সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না। ২০১৩ সালে নিজেরই আশ্রমে ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে যোধপুর জেলে বন্দি রয়েছেন বিতর্কিত এই ধর্মগুরু। এবার সেই একই বছরে গুজরাতের মোতেরায় নিজের অন্য এক আশ্রমে আরও এক মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলেন আশারাম বাপু। সে রাজ্যের গান্ধীনগর দায়রা আদালতে গত শুক্রবারই ধর্ষক এই ধর্মগুরুকে দোষী সাব্যস্ত করে, বিচারক ডি কে সানি জানিয়েছিলেন, শনিবার তাঁর শাস্তি ঘোষণা করা হবে। আর তখনই সরকারি আইনজীবী আর সি কোডেকার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, বড় কোনও শাস্তির কবলে ফের পড়তে চলেছেন বিতর্কিত ধর্মগুরু আশারাম বাপু। আর সেই জল্পনাকেই সত্যি করে শনিবার আশারামকে ধর্ষণ এবং গুরুতর অপরাধ করার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে, মোতেরার ওই দায়রা আদালত।
মোতেরা পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগ, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গান্ধীনগর দায়রা আদালতে দায়ের হওয়া মামলায় জানা গেছে, ২০১৩ সালে সেখানকার আশ্রমের বাসিন্দা এক শিষ্যাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে গিয়েছেন আশারাম বাপু। এমনকি সেই ঘটনায় আশারামের স্ত্রী সহ আরও ৬ জনের যুক্ত থাকার দাবি করেছিলেন অভিযোগকারিনী ওই শিষ্যা। সেই অনুযায়ী ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩৫৪ এ, ৩৭৯, ৩৭৬ (২সি), ৩৭৭ সহ একাধিক ধারায় ধর্মগুরু বিরুদ্ধে গান্ধীনগরের আদালতে মামলা চলছিল। এদিকে যোধপুর জেলে বন্দি থাকায়, এবং শারীরিক কারণে ৮১ বছরের আশারাম বাপুকে গান্ধীনগরের দায়রা আদালতে সশরীরে হাজির হওয়া থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল আদালত। পরিবর্তে ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে হাজির ছিলেন আশারাম।
চূড়ান্ত রায় শোনাতে গিয়ে গান্ধীনগর দায়রা আদালতের বিচারপতি ডি কে সানি মঙ্গলবার আশারামের স্ত্রী আর কন্যাসহ বাকি ছয় অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করেন। তবে মূল অভিযুক্ত আশারাম বাপুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক।