ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২২ ফেব্রুয়ারিঃ   ছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। হয়ে গেল সেখানকার এক শিক্ষিকার বসবাসের জন্য দোতলা বাড়ি। আর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র উধাও হয়ে যাওয়ায়, বাচ্চাদের রোজকার দুপুরের খাবারও বেমালুম গায়েব হয়ে গেছে। অবিশ্বাস্য এই দুর্নীতির ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলা কর্মী সাইনুর খাতুন ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের মালিওর ২ গ্রামপঞ্চায়েতের দক্ষিণ তালসুর গ্রামের এই ঘটনায়, অভিযুক্ত সাইনুর ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে, স্থানীয় বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। কোনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকে। অভিযোগ পেয়েই ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

গ্রামসূত্রে জানা গেছে,  অভিযুক্ত সাইনুর খাতুন এবং তাঁর স্বামী রীতিমতো গায়ের জোরে, সরকারি সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্পের হাতে থাকা ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বাড়িটি ভেঙে, নিজেদের বসবাসের জন্য দোতলা পাকা বাড়ি তৈরি করেছেন। এমনকি বিভিন্ন সময়ে আসা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থও আত্মসাৎ করেছেন, সাইনুর আর তাঁর স্বামী। শিশুরা খাবার চাইতে গেলে তাদেরকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, অভিযুক্ত দম্পতির বিরুদ্ধে।

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ, যথারীতি অস্বীকার করেছেন, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা সাইনুর খাতুন। তার দাবি তিনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজে ওই এলাকায় যুক্ত ছিলেন। তাই আবাস যোজনার তালিকা থেকে যাঁদের নাম বাদ গেছে, তাঁরাই তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে, এই সমস্ত মিথ্যা অভিযোগ রটাচ্ছে। অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও বিজয় গিরি জানিয়েছেন,” আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সবমিলিয়ে চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগের জেরে নির্বাচনের মুখে, সমাজের নীচুতলায় পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে রাজ্যের শাসকদল তথা সরকারের সমন্বয়ের অভাবটা ফের স্পষ্ট হল।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর