youth lead the Indian cricket

ব্যুরো নিউজ, ২৭ ফেব্রুয়ারি: রাঁচিতে সদ্য সমাপ্ত চতুর্থ টেস্ট ক্রিকেট জয়ের সঙ্গে সঙ্গে  ভারত বুঝিয়ে দিল এবার দলে শুরু তরুণ ক্রিকেটারদের রাজত্ব। এতো ভালো স্নায়ু যুদ্ধে উত্তীর্ণ হয়ে বেশ কিছু ক্রিকেটারদের সতর্ক করে দিল ধ্রুব জুরেল, শুভমান গিল, সারফারাজ খান ও যশস্বী জয়সওয়ালদের খেলা।  টিমের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা খেলার পর স্পষ্ট সে কথ জানালেন। বললেন, হাদের শুধু মাত্র টেস্ট ক্রিকেট খেলার খিদে রয়েছে তাদেরই দরজা খোলা থাকবে ভারতীয় টিমের জন্য। নবাগত আকাশদীপের বল তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের অনেক তারকাদের। এমনকি জুরেলর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সচিন থেকে বিরাট সকলেই। সচিন বলেন, রাঁচির ২ ইনিংসেই জুরেলের ফুটওয়ার্ক ও বলের লেংথ রিড করার দক্ষতা অসামান্য। টেল এন্ডার কুলদিপের সঙ্গে যেভাবে জুটি বেঁধে ছিলে প্রথম ইনিংসে তাতে জুরেলের ৯০ রান সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। একইভাবে সেকেন্ড ইনিংসে এক সময় ৫ উইকেট ফেলে দিয়েছিল ইংল্যান্ড, রান ১২০। রবীন্দ্র জাদেজা আর সরফারাজ খানকে পরপর দুটো বলে ইংল্যান্ডের বোলার বোশির আউট করে এমন ধাক্কা দিয়েছিল যে জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। এরপরেই জুরেল নেমে গিলের সঙ্গে অসাধারণ ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে ম্যাচ বার করে নিলেন। জুরেলের ব্যাটিংয়ের শুরু থেকেই তাকে চার পাশে ঘিরে ধরেন রুট, বেয়ার স্টো, ক্রলি ও স্টোকস। কিন্তু তবুও তার ধৈর্যচ্যুতি ঘটাতে পারেনি ব্রিটিশ বোলাররা। পিচ তখন ভেঙে চুরমার। ইংল্যান্ডের প্রতিটি ডেলিভারি ছিল উইকেটের ঠিকানা লেখা। কিন্তু, সেই ব্যাটসম্যানদের বদ্ধ ভুমিতে জয় ছিনিয়ে না আনা পর্যন্ত গিলকে সঙ্গে নিয়ে বাকি ৭২ রান করে ম্যাচ জিতে নিলেন।

একাধিক হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর | প্রতিবাদে বিজেপি

Advertisement of Hill 2 Ocean

বাবা কার্গিল যুদ্ধের অন্যতম নায়ক। জুরেলকে বলেছিলেন চাকরি জীবনে সকলকে স্যালুট দিয়েছেন। তাই মাঠে পারলে যেনও তাকে একটা স্যালুট দেয় জুরেল। তাই জয় ছিনিয়ে আনার সঙ্গে সঙ্গে বাবার উদ্দেশ্যে স্যালুট দিয়েছিলেন মাঠেই। শুভমান গিল মাটি আঁকড়ে পড়ে থেকে তার ১২৪ বলে ৫২ নটআউট মনে রাখবে রাঁচির সমস্ত দর্শকেরা। আর জুরেল ৭৭ বলে ৪৯ নটআউট। তাই জুরেলই ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ। তবে, বল হাতে অশ্বীন, কুলদিপ, জাদেজা যে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডকে মাত্র ১৪৫ রানে বেঁধে দিয়েছিল তার জন্য কোনঅ প্রশংসাী যথেষ্ট নয়। সেখান থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটার থেকে সমর্থকরা আশায় বুক বেঁধে ছিল। কিন্তু, এতো নাটকীয় যে হতে পারে তা আশা করেনি দর্শকরা। কারন, ওই ৫ উইকেট ফেলে ইংল্যান্ড খেলায় ফিরে এসেছিল। তার জন্য অবশ্য কৃতিত্ব প্রাপ্য ব্রিটিশ অফ স্পিনার বশিরের। কিন্তু দিনটা তাদের ছিল না। এই ম্যাচ বুঝিয়ে দিয়ে গেল যে, কেএল রাহুল থেকে ইশান কিষান কেউই একান্ত প্রয়োজনীয় নয়। নতুন ধ্রুবতারারা যেভাবে উঠে এসেছে তাতে ক্রিকেটারদের খেলার সম্ভাবনা এখন প্রাইভেট অফিসের চেয়ারের মতো। অথবা পদ্ম পাতায় জল। এই আছে তো এই নেই। ভারতীয় দলের কোচ থেকে অধিনায়ক সবাই যে সুরে টিমকে বাঁধতে চাইছেন তা হল, খিদে থাকলে পারফর্ম করে দেখাও বাপ, নতুবা রাস্তা খোলা। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর