ব্যুরো নিউজ, ২০ মে : এর আগে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে মুখ খুলতে শোনা যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ- কে। তিনি বলেছেন, আগে যা কাশ্মীরে হত, এখন সেটা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হচ্ছে। আর এখন কাশ্মীরে হরতাল হয় না। হরতাল হয় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। এর আগে আজাদির কথা শোনা যেত কাশ্মীরে, আর এখন শোনা যায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর সেখানে ভোট হচ্ছে। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জন- জীবন।
পুরীতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর রোড-শোয়ে জন-প্লাবন! তবে কি ২৪-এই খেলা ঘুরবে ওড়িশায়?
প্রসঙ্গত, ১০ মে থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়। পাকিস্তানে আর্থিক পরিকাঠামো কার্যত ভেঙে পড়েছে। আর এই আর্থিক সংকট থেকে বেরতে পাক সরকার ‘বলির পাঠা’ বানিয়েছে সাধারণ মানুষকেই। কার্যত আর্থিক সঙ্কট কাটাতে জনগণের উপরেই চাপানো হয়েছে বিপুল করের বোঝা। এই অতিরিক্ত করের বোঝা, মূল্যবৃদ্ধিও পাশাপাশি বিদ্যুৎ সঙ্কটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ। এর আগেও একাধিকবার পাক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছে সেখানকার মানুষ। সরকারের বিরোধিতা করে পথে নেমেছে সেখানকার আম জনতা। আর তার জেরে বন্ধ দোকান – বাজার। এমনকি আজাদির স্লোগান দিতে শোনা যায় বিক্ষভকারীদের। এছাড়াও ভারতের সমর্থনে ওঠে পোস্টার। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় রুদ্রমূর্তি ধারন করে পাক সরকার। পাক আধা-সামরিক বাহিনী গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। আর তাতেই মৃত্যু হয় বহু জনের। গুরুতর আহত হয় আরও কয়েকজন। এই পরিস্থিতিতে কার্যত জ্বলছে পাক অধিকৃত কাশ্মির।
আর এবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কথা শোনা গেল উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মুখে। মহারাষ্ট্রের এক জনসভা থেকে তিনি দাবি করেন, নরেন্দ্র মোদী তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর, ছয় মাসের মধ্যে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ হবে।
তিনি এই বলেন, আমরা আমাদের শত্রুদের পুজো করব না। যদি কেউ আমাদের মানুষদের হত্যা করে, আমরা তাদের যোগ্য জবাব দেব। POK- কে রক্ষা করা পাকিস্তানের পক্ষে কঠিন। এবারের নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলে, ছয় মাসের মধ্যে পিওকে ভারতের অংশ হবে।
এর আগে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা দাবি করেছেন, বিজেপি এবার ক্ষমতায় এলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের অংশ করার চেষ্টা করবে মোদী সরকার। আর এবার সেই সুর শোনা গেল যোগী আদিত্যনাথের মুখে।