ব্যুরো নিউজ, ২২ ফেব্রিয়ারি: এখন ১২ মাস দিঘায় পর্যটকদের আনাগোনা। উইকএন্ড বা হলিডে হলে তো কথাই নেই। দিঘার বিচে উপচে পড়া ভিড়। পাশাপাশি মানপাসান্দ হোটেল মেলাও প্রায় দুষ্কর। তার ওপর চড়া রেট। কিন্তু কি করা যায়! ছুটির দিনে আনন্দ করতে ঘুরতে আসা। তাই অনেকে এই হ্যাপা এড়াতে আগেভাগে অনলাইনেই বুক করে রাখেন নিজেদের ইচ্ছে মাফিক হোটেল। কারন ছুটির দিনগুলিতে কোনও ঝক্কি ছাড়াই চিল করা চাই যে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি কোটি টাকার প্রতারনা
কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই সেই আনন্দ আর নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। চিল করতে সি-বিচের বসে মদের আড্ডাও চলে জোরদার। তার ওপর আছে আবার বকাটে ছেলেদের দৌরাত্ম্য। মাঝ রাত পর্যন্ত হোটেলের বাইরে রাস্তায় বা বিচের ধারে চলে এই সব কীর্তি কলাপ। সম্প্রতি, সৈকত শহর দিঘায় মহিলা পর্যটক ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই সঙ্গে দিঘার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
রাত ১১ টার পর পর্যটকরা আর হোটেলের বাইরে ঘোরাঘুরি করতে পারবে না। খুব প্রয়োজন ছাড়া বেরনো যাবেনা হোটেলের বাইরে এমনকি বন্ধ করতে হবে দোকানপাটও। স্থানীয়দের ক্ষেত্রেও জারি এই নিষেধাজ্ঞা। সন্ধের পর ওল্ড দিঘা থেকে নিউ দিঘা পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতের রাস্তা জুড়েও থাকবে মহিলা পুলিশ। পাশাপাশি রাতের শহরের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিকে বিশেষভাবে নজরদারির ব্যবস্থা করা হবে। পর্যটকদের সুরক্ষার কথা ভেবেই চলছে নাকা চেকিংও। দিঘায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রাতের শহরে মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে এই সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি পর্যটকদের সুরক্ষার কথা ভেবে সব পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য। ইভিএম নিউজ