ISRO

ব্যুরো নিউজ, ১৭ মে : পশ্চিমবঙ্গে সিএএ লাগু করাকে কেন্দ্র করে বারবার নরেন্দ্র মোদী সরকারকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে এর পাল্টা জবাব দিয়ে সিএএ যে লাগু হবেই তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে হুঁশিয়ারও দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ সকলেই। এই নিয়ে বাকযুদ্ধও কম হয়নি। তবে সিএএ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হুঁশিয়ারি দেলেন বিরোধী সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেসকে।

ইডির উদ্ধার করা টাকা বিলিয়ে দেওয়া হবে গরিবদের? ঠিক কি বললেন মোদী?

নির্বাচনী সভা থেকে বিরোধীদের কড়া হুঁশিয়ারি মোদীর

উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে এক নির্বাচনী জনসভায় সিএএ নিয়ে বিরোধীদের তোজ দাগেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, আজমগড় হল সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা। এদিন জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তোলেন। দেশের বাজেট ভাগ করে সংখ্যালঘুদের জন্য ১৫ শতাংশ বরাদ্দ করতে চায় বলেও অভিযোগ করেন মোদী।

কার্যত এদিনের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী সংখ্যালঘু তোষণকে হাতিয়ার করে সিএএ নিয়ে বিরোধীদে নিশানা করেন। কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের মতো দলগুলি সিএএ ইস্যুতে মিথ্যা ছড়াচ্ছে। তারা উত্তরপ্রদেশ-সহ সারা দেশ দাঙ্গায় জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আজও এই ইন্ডিয়া জোটের লোকেরা বলে যে মোদি সিএএ এনেছেন এবং যেদিন তিনি যাবেন, সিএএ-ও সরিয়ে দেওয়া হবে। দেশ মে কোন মাই কা লাল প্যাদয়দা হুয়া হ্যায় জো সিএএ হটা সাকে? (এই দেশে এমন কেউ কি জন্মেছে যে সিএএ বাতিল করতে পারে?) কেউ সিএএ অপসারণ করতে পারবে না।’

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে এদিন প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ‘সিএএ-র অধীনে উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এঁরা সেইসব মানুষ যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে শরণার্থী হিসাবে দেশে বসবাস করছেন এবং ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের শিকার হয়েছেন।’ সব মিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আবহে সিএএ ইস্যুতে গেরুয়া শিবির বিরোধীদের কোণঠাসা করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

BJP Helpline

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর