ব্যুরো নিউজ, ২১ মে : আবারো কি ফিরতে চলেছে আমফানের স্মৃতি? ঘূর্ণিঝড় রেমালকে নিয়ে এমনই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে? তবে এই ঘূর্ণিঝড় কতটা ভয়ংকর পরিস্থিতি আকার ধারণ করবে, কোথায় এর ল্যান্ডফল হবে অথবা বঙ্গে এর কতটাই বা প্রভাব পড়বে? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।
রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের প্রেসিডেন্ট কে হবেন?
কোথায় আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়? কী জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা?
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় তৈরির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে ২২ মে। ধীরে ধীরে সেই নিম্নচাপ উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। শুক্রবার সকালের মধ্যেই এটি গভীর নিম্নচাপের আকার ধারণ করবে। ফলে ঝোড়ো হওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় ঠিক কোন পথে এগোবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
আবহাওয়াবিদদের ধারণা বাংলাদেশের বরিশালে এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসম ভবন সূত্রে খবর এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলায় ততটা পড়বে না। যদিও এখনই নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। এই নিম্নচাপটি অতি গভীর নিম্নচাপের আকার ধারণ করলে তার দিক ও গতি পরিবর্তন হতে পারে বলে জানাচ্ছে মৌসম ভবন। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার পর তা ঠিক কোন দিকে এগোচ্ছে তার পুরোটাই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার দুপুর থেকেই বঙ্গোপসাগর উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। ঢেউয়ের উচ্চতাও বাড়বে বলে জানানো হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে মৎস্যজীবীদের ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।