ব্যুরো নিউজ,১২ নভেম্বর:রাজ্য সরকার সম্প্রতি এসএসকেএম এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে একটি সিকিয়োরিটি অডিট কমিটি গঠন করেছে। সোমবার এই কমিটির চেয়ারম্যান, প্রাক্তন ডিজি সুরজিৎ করপুরকায়স্থ এবং অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা হাসপাতাল দুটিতে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্তা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন।এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কারণ সম্প্রতি আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপর আক্রমণের ঘটনার পর, রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি জানানো হয়েছিল। জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট সেই ঘটনার পর থেকে রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিল, যেন সরকারি হাসপাতালগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, রাজ্য সরকার একটি সিকিয়োরিটি অডিট কমিটি গঠন করে।
হলদিরামের জল জমার সমস্যার সমাধানে নড়েচড়ে বসল নবান্ন!
নিরাপদে থাকতে পারেন
কমিটি নিরাপত্তার সমস্ত দিক পর্যালোচনা করছে, যাতে হাসপাতালের পরিবেশ আরও নিরাপদ ও সুরক্ষিত হয়। হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে, এবং পুলিশ বাহিনীও মোতায়েন করা হচ্ছে। সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে, কিন্তু তা কতটা কার্যকর, তা যাচাই করছে এই কমিটি।সোমবার দুপুরে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে এবং পরে এসএসকেএম হাসপাতালে কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে এই বৈঠক। বৈঠকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা, পুলিশ আধিকারিক এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সিসি ক্যামেরার সংখ্যা, কোথায় কোথায় ক্যামেরা বসানো হচ্ছে, হাসপাতালের সুরক্ষায় কীভাবে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন হচ্ছে এবং প্যানিক বোতামসহ অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সিদ্দিকী হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার শিবকুমার গৌতম, জানালেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নির্দেশ ছিল
এসএসকেএম হাসপাতালের বৈঠক শেষে সুরজিৎ করপুরকায়স্থ বলেন, “হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সব দিক থেকেই আলোচনা করা হয়েছে। কোথায় আরও উন্নতি প্রয়োজন, তা-ও দেখা হয়েছে।”এই পদক্ষেপের মাধ্যমে রাজ্য সরকার হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে চাইছে, যাতে ভবিষ্যতে কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে, তাতে চিকিৎসক ও রোগীরা নিরাপদে থাকতে পারেন।