virat kohli

ব্যুরো নিউজ ১৪ মে: ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলির লড়াকু মানসিকতা এবং অনুশীলনের প্রতি নিষ্ঠা নিয়ে নতুন করে মন্তব্য করলেন দেশের প্রাক্তন বোলিং কোচ ভরত অরুণ। তাঁর মতে, কোহলি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে কখনই পছন্দ করতেন না, কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন— প্রকৃত আগ্রাসন এবং চ্যালেঞ্জের অনুভূতি সেখানে অনুপস্থিত। তার বদলে তিনি নেটেই ঘাম ঝরিয়ে তৈরি হতেন মূল ম্যাচের জন্য।

নেটেই কোহলির যুদ্ধের প্রস্তুতি!

এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে ভরত অরুণ জানান, “কোহলি প্রস্তুতি ম্যাচে বিশ্বাস করত না। তার মতে, এগুলোতে আবেগ বা প্রতিযোগিতার সেই তীব্রতা থাকে না। বরং ও চাইত কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে প্রস্তুত করতে। তাই নেটে অনুশীলনের সময় সবচেয়ে কঠিন উইকেট বেছে নিত। বোলারদের বলত ১৬ গজ দূর থেকে বল করতে, যেন প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় আরও কমে আসে। এমনকি থ্রো-ডাউনও নিত ১৬ গজ থেকেই। সব মিলিয়ে, ও সব সময় নিজের সীমা পেরোতে চেয়েছে।”

অরুণ আরও জানান, বিরাটের মানসিক দৃঢ়তা এবং নেতৃত্বগুণ দলকেও উৎসাহিত করত। ২০১৮ সালের ঐতিহাসিক অস্ট্রেলিয়া সফরের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পার্‌থে বিরাট দুর্দান্ত একটি শতরান করেছিল। কিন্তু ম্যাচটা জিততে পারিনি। এরপর মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে যাওয়ার আগে বিরাট ড্রেসিংরুমের পরিবেশটাই পাল্টে দিয়েছিল। ওর বিশ্বাস ছিল, আমরা জিততে পারি। এবং ও নেতা হিসেবে সেটাই করে দেখায়। সেই টেস্ট ম্যাচ জিতেছিল ভারত, এবং পরে সিরিজও।”

উল্লেখযোগ্যভাবে, এটি ছিল ভারতের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয় অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে— যা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ভরত অরুণের কথায় স্পষ্ট, কোহলির ‘প্রিপারেশন’ কেবল ফিজিক্যাল ছিল না, সেটা মানসিক এবং কৌশলগতও ছিল। আর সেটাই তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। এই বক্তব্য আরও একবার প্রমাণ করে দেয়, কেন কোহলিকে ‘মোস্ট প্রিপেয়ার্ড ওয়ারিয়র’ বলা হয়— যার প্রতিটি পদক্ষেপে লুকিয়ে থাকে পরিকল্পনা, সাহস আর অদম্য লড়াইয়ের ইচ্ছা।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর