ব্যুরো নিউজ, ২৯ মার্চ ; আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের পর আট মাস কেটে গেলেও এখনো পুরোপুরি সুরাহা হয়নি এই মামলার। যদিও তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে নিম্ন আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। তবে প্রথম থেকেই নিহত তিলোত্তমার বাবা-মায়ের দাবি, এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত, কিন্তু তাদের আড়াল করা হচ্ছে।শুক্রবার দিন হাইকোর্টে মামলার দ্বিতীয় শুনানির দিনে সিবিআই আদালতে জানায়, এটি ধর্ষণের ঘটনা এবং এখন পর্যন্ত তদন্তে একজনের নামই উঠে এসেছে। সিবিআই-এর তরফে দাবি করা হয়, আরজি কর হাসপাতালে গণধর্ষণের কোনো প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু তিলোত্তমার দেহ উদ্ধারের পর ইনকোয়েস্ট রিপোর্টে (সুরতহাল রিপোর্ট) যে পেটের ও রিং ফিঙ্গারে আঘাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল, তার সঙ্গে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের তথ্যের ফারাক রয়েছে বলে বিচারপতি ঘোষ প্রশ্ন তোলেন।
তীব্র দাবদাহে জ্বলছে দক্ষিণবঙ্গ, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা
সিবিআই-এর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার জানান, ১৪ জন চিকিৎসকের একটি দল ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখেছে যে অপরাধে মাত্র একজন যুক্ত। এছাড়া হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শুনানির সময় বিচারপতি ঘোষ প্রশ্ন করেন, কলকাতা পুলিশের কাছে থাকা কেস ডায়েরি সিবিআই-এর কাছে রয়েছে কি না এবং তদন্ত কেন এতদিনেও সম্পূর্ণ হয়নি?
বইমেলায় হাসিনার ছবিযুক্ত ডাস্টবিনঃ বিতর্কের ঝড়
এদিন তদন্তে গাফিলতির প্রসঙ্গও আদালতে উঠে আসে। সিবিআই জানায়, তারা এখন দেখছে, প্রমাণ লোপাটের কোনো বড় ষড়যন্ত্র হয়েছে কি না। এছাড়া, অফিসার-সহ আরও অনেকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে সন্দেহভাজনদের তালিকা প্রকাশ করতে বলা হলে, সিবিআই আইনজীবী জানান, তিনি তা বন্ধ খামে পেশ করবেন।
কেকেআরের জয়,শাহরুখের ভক্ত গ্রেফতার
বিচারপতি ঘোষ সিবিআই-এর আইনজীবীকে মনে করিয়ে দেন, ইনকোয়েস্ট রিপোর্টে পেটের ও রিং ফিঙ্গারে আঘাতের কথা উল্লেখ থাকলেও ময়নাতদন্তে তা নেই। এই অসঙ্গতি দূর করতে তিনি ইনকোয়েস্ট ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। ফলে তদন্তের নতুন মোড় নিয়ে আবারও আলোচনার ঝড় উঠেছে।