ব্যুরো নিউজ,২৯ মার্চ : পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিতে কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির নির্বাচন ঘিরে ভয়াবহ সংঘর্ষ বাধে। ভোটগ্রহণের দিন সকাল থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একাধিক জায়গায় দুই দলের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি, মারধর এবং বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে।এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের অভিযোগ উঠে আসে। অখিল গিরির দাবি, তিনি যখন ভোটকেন্দ্রে ভুয়া ভোটার ঢোকানো নিয়ে প্রতিবাদ করছিলেন, তখনই পুলিশ তাঁর ওপর চড়াও হয়। তাঁর অভিযোগ, ডিএসপি আবু নূর হোসেন তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন, যার ফলে তিনি কোমর ও মাথায় আঘাত পান।
দূষণে দিল্লীকেও হার মানাল এই ছোট্ট শহর বর্নিহাটঃ পরিবেশ রক্ষার জন্য আন্দোলনে বাসিন্দারা
এই ঘটনার পরপরই তৃণমূল সমর্থকরা রামনগর থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। জাতীয় সড়ক ১১৬বি-তে বসে পথ অবরোধ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকেও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়।
দিল্লী ভোটের আগে যমুনা নদী ইস্যুতে কেজরিওয়ালকে তীব্র আক্রমণ রাহুল গান্ধির
এদিকে, এগরার তৃণমূল বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি বিজেপির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তাঁর দাবি, বিজেপি পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল কর্মীদের ভোটের স্লিপ কেড়ে নিয়ে নিজেদের অনুগামীদের দিচ্ছে। এমনকি তৃণমূল সমর্থকদের ভয় দেখিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা দিবসে মুজিবের নাম মুছে দেওয়ার চেষ্টা হোলো,মোদির চিঠিতে খোঁচা ইউনূসকে।
অন্যদিকে, বিজেপি এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের পাল্টা দাবি, পুলিশ তো রাজ্যের শাসক দলের অধীনে, তাহলে কীভাবে তৃণমূল বিধায়ক পুলিশের হাতে আক্রান্ত হলেন? বিজেপির মতে, এই অভিযোগ রাজনৈতিক চক্রান্ত ছাড়া কিছুই নয়।এই ঘটনার ফলে কাঁথির রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। শুভেন্দু অধিকারীর শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত এই এলাকায় বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ যে আরও বাড়বে, তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
