ব্যুরো নিউজ, ২ মে : মরু দেশে বন্যা, বৃষ্টির অভাবে কলকাতাই মরু রাজ্য। একি চরম পরিহাস প্রকৃতির!
চীনা গুপ্তচর জাহাজের পরে, এবার কেন মালদ্বীপে তুর্কি যুদ্ধজাহাজ?
সম্প্রতি, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে হলুদ সতর্কতা। বন্যা পরিস্থিতি কাটিয়ে ফের বজ্র বিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টি। সমগ্র অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির দরুন ব্যহত হয়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
কিছুদিন আগেই কৃত্রিম বৃষ্টির জেরে বন্যারপরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মরু দেশে। রাস্তা- ঘাট থেকে শপিং মল জুবে গিয়েছিল জলের তলায়। এই ঘটনায় সামনে এসেছিল এক অবিশাশ্যকর তথ্য। জানা গিয়েছিল, মরু দেশে সারা বছরের বৃষ্টি এক দিনেই হয়েছে। তার জেরেই সেই পরিস্থিতি। কিন্তু এবার কোনও কৃত্রিম পদ্ধতিতে নয়। আজ বৃহস্পতিবার সরকারের তরফ থেকে এই ভারী বৃষ্টি সম্পর্কে সচেতন করা হয় দেশবাসীকে। বজ্র বিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির কারনে সে দেশে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। সকলকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সকল করমচারিদের ঘরে থেকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে সরকার।
এদিকে ভারতের অবস্থা ঠিক তার উল্টো। ভরা বৈশাখ মাসে ঝড় বৃষ্টির কোনও নাম গন্ধ নেই। উল্টে বেড়েই চলেছে তাপ মাত্রার পারদ। কার্যত নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙছে আবহাওয়া। তব্র গরম, সঙে বাতাসে বইছে ‘লু’, এই ভয়ানক তাপপ্রবাহে তাপমাত্রার পারদ চরেছে ৪৫ ডিগ্রিতে। এমনকি নেই কোনও ঝড়- বৃষ্টির পূর্বাভাস। কার্যত, কলকাতাই পরিণত হয়েছে মরু রাজ্যে।
আরবে বজ্র বিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টি হলুদ সতর্কতার দরুন বহু বিমান সংস্থা তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে। পাশাপাশি দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেও কম সংখ্যায় বিমান উড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসের দরুন বহু স্কুল- কলেজও অনলাইন ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারন পূর্বে যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সে দেশে তার দরুন বহু ক্ষয় – ক্ষতি হয়। তাই এবার কোনও ভাবেই যাতে সে রকম ভয়াবহ পরিস্থতি তৈরি না হয় সে দিকেই কড়া নিজর দ্দিয়েছে সরকার।