ব্যুরো নিউজ ১৪ নভেম্বর :হলুদ ছাড়া রান্নার কথা ভাবাও যায় না। কোনও একটা রান্নায় যদি ভুলে হলুদ না যায় তখন খাবারের রঙ আর স্বাদ যেন পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে যায়। সম্প্রতি একটি গবেষণা উদ্বেগজনক তথ্য সামনে এনেছে যা হলুদে সিসার পরিমাণ সম্পর্কে। ভারত, পাকিস্তান ও নেপাল—এই তিনটি দেশের বিভিন্ন শহরে গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, অনেক গুঁড়ো হলুদের মধ্যে রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত সিসা, যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর হতে পারে।
তিন বছরের সুখী দাম্পত্য জীবন কিভাবে টিকিয়ে রেখেছেন ক্যাটরিনা ও ভিকি! জানালেন গোপন রহস্য
কি বলল গবেষণায়
১৮ আর হবে না মেয়েদের বিয়ে! তাহলে বিয়ের ন্যূনতম বয়স কত?
ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) অনুযায়ী প্রতি গ্রাম হলুদে সর্বোচ্চ ১০ মাইক্রোগ্রাম সিসা থাকতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, বেশ কিছু হলুদে সিসার পরিমাণ ১০০০ মাইক্রোগ্রাম ছাড়িয়ে গেছে। এই গবেষণা ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালের ২৩টি শহরে পরিচালিত হয়েছে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এবং ভারতের ফ্রিডম এমপ্লাবিলিটি অ্যাকাডেমি যৌথভাবে এই গবেষণা করেন।
মহম্মদ আসাদুজ্জামানঃবাংলাদেশের সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ রাখার প্রয়োজন নেই
গবেষণার ফলাফল চিন্তা বাড়ানো সত্যিই। প্রায় ১৪ শতাংশ হলুদে সিসার পরিমাণ ২ শতাংশ বেশি পাওয়া গেছে যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। সিসার উচ্চমাত্রা হাড়ের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি তা শরীরের অন্যান্য অঙ্গও প্রভাবিত করতে পারে। পটনায় একটি গ্রামে প্রতি গ্রাম হলুদে সিসার পরিমাণ পাওয়া গেছে ২,২৭৪ মাইক্রোগ্রাম, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
এটি স্পষ্ট যে, প্যাকেজ বা ব্রান্ডেড হলুদে তুলনামূলকভাবে কম সিসা পাওয়া যায়। তবে বাজারে সাধারণত পাওয়া গুঁড়ো হলুদে সিসার পরিমাণ অনেক বেশি। ফুড সেফটি সংস্থা বিষয়টি নিয়ে নজর দিচ্ছে। কিন্তু সিসা মেশানোর এ ধরনের অনিয়ম দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।