ব্যুরো নিউজ,৩ ডিসেম্বর:সম্প্রতি ত্রিপুরায় বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য হোটেল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।এর আগে, ত্রিপুরার একটি বেসরকারি হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।এই নিয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। ত্রিপুরার হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের এই পদক্ষেপের পিছনে রয়েছে বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদ এবং সেখানে হিন্দুদের ওপর চলমান অত্যাচারের বিরুদ্ধে ত্রিপুরার মানুষের ক্ষোভ।
চিন্ময় কৃষ্ণদাসের গ্রেফতারিতে উত্তাল বাংলাদেশঃ জামিন পাবেন কি আজ ?
ভারত সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেবে
ত্রিপুরার বাসিন্দারা বাংলাদেশি মিশনের সামনে বিশাল মিছিল বের করেছিলেন বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হামলা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে।বাংলাদেশি মিশনের মধ্যে অন্তত ৫০ জন প্রতিবাদকারী প্রবেশ করেন, যা দেখে মিশনের স্টাফরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।ত্রিপুরার হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্রিপুরা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা, তাই এখানকার প্রতিবাদগুলো আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে ত্রিপুরা জুড়ে একের পর এক প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে, বাংলাদেশে ভারতগামী বাসে হামলা চালানো হয়েছিল।ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা তাতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন।তিনি বলেছিলেন, এসব ঘটনা বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সমাধান করতে হবে, নইলে ভারত সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
কোল্ড ড্রিঙ্কস, সিগারেট, তামাকজাত দ্রব্যের উপর ৩৫% জিএসটিঃ দাম বাড়বে আরও!
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। তারা যদি নিজেদের সংশোধন করে নেয়, তবে ভালো, নইলে আরও অনেক ঘটনা ঘটতে পারে। ত্রিপুরা, যেহেতু বাংলাদেশ দ্বারা তিন দিক থেকে বেষ্টিত, তাই বিএসএফ ও ডিজিপির সঙ্গে কঠোর নজরদারির বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।