ব্যুরো নিউজ, ২১ ফেব্রুয়ারি: সেনপাড়া স্কুলে উচ্চমাধ্যমিকের পড়ুয়া ওই ছাত্রী। এবছর সেনপাড়া স্কুলের সিট পরেছিল করিমপুর জগন্নাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেই মতো এদিন ঠিক সময়েই পরীক্ষার হলে পৌছায় ওই পরীক্ষার্থী। সময় হলে পরীক্ষাও দিতে বসে সে। কিন্তু এরমধ্যেই ঘটে বিপত্তি।
পরীক্ষা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ওই ছাত্রী বাথরুমে যাওয়ার নাম করে পরীক্ষার হল থেকে বেড়িয়ে যায়। কিন্তু অনেকটা সময় কেটে গেলেই পরীক্ষার হলে ফিরে আসেনি ওই পড়ুয়া। ঘটনায় অন্যরকম গন্ধ পেয়ে শুরু হয় ওই ছাত্রীর খোঁজ। অবশেষে বাথরুমে পৌছাতেই মাথায় হাত সকলের।
রক্তাক্ত অবস্থায় বাথরুমে পড়ে আছে ওই পরীক্ষার্থী। গলায় ওড়নার ফাঁস। অচৈতন্য অবস্থায় ঝুলছে ওই ছাত্রী। এরপরই তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্কুল চত্বরে। জানা যায়, ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা কেটে ফেলে ওই পড়ুয়া। পাশাপাশি ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তবে হঠাৎ কি কারনে এই সিদ্ধান্ত তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
তবে ঘটনায় প্রেম জনিত কোনও সমস্যা থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। এদিকে পরীক্ষা চলাকালীন বাথরুমে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা পরীক্ষা ভালো না হাওয়ার কারনে হতে পারে বোলে মোনে করছে পুলিশ। তবে আচমকা বাড়ির মেয়ের এই ঘটনায় ভেঙে পড়েছে পরীক্ষার্থীর পরিবার।