ব্যুরো নিউজ ২ অক্টোবর: মহালয়ার আগের রাতে দুটি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বালি থানার এলাকায়, যেখানে এক দম্পতি ও তাদের বন্ধুর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। মৃতদের নাম সুজয় মজুমদার ২৩, তার স্ত্রী রিঙ্কি মজুমদার ২১, এবং সৌরভ চন্দ্র দাস ২২। দুর্ঘটনার পর লরির চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় এবং এখনো তার খোঁজ মেলেনি।
পুজোর আগে মেথির সাহায্যে দ্রুত ওজন কমান
পলাতক গাড়ির চালক
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে মোটরবাইকে করে এক দম্পতি ও তাদের বন্ধু বালি থেকে ডানকুনির দিকে যাচ্ছিলেন। সিসিআর ব্রিজের ওপর এই দুর্ঘটনাটি ঘটে, যখন একটি পণ্যবাহী লরি তাদের বাইকের পেছনে ধাক্কা মারে। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর চালক লরি নিয়ে পালিয়ে যায়।পুলিশ এবং বালি ট্রাফিক গার্ডের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে উত্তরপাড়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। সকল মৃত ব্যক্তি লিলুয়ার আনন্দনগরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে, এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।অন্যদিকে, মহালয়ার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের কামারের হাট এলাকায় একটি ‘জিও’ গাড়ি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। জানা যায়, ওই গাড়িটি বারুইপুর থেকে গঙ্গাসাগরে যাচ্ছিল। ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে কামারহাটের কাছে, প্রথমে একটি দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িকে ধাক্কা মেরে রাস্তার মাঝ বরাবর দাঁড়িয়ে যায় জিও গাড়িটি। এরপর কাকদ্বীপ থেকে কলকাতাগামী একটি বাস জিও গাড়িটিকে সজোরে ধাক্কা মারে।এই দুর্ঘটনায় জিও গাড়ির ১০ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশও উপস্থিত হয়। জানা গেছে, দুর্ঘটনায় ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন, এবং বাকি আহত ১০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাস এবং জিও গাড়িটিকে আটক করেছে।
কৃষ্ণ কল্যাণীর রাজনীতি ছাড়ার হুমকিঃ উত্তাল রাজ্য রাজনীতি
এই দুটি দুর্ঘটনা ঘটার পর এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছেন, রাস্তার নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। দুর্ঘটনাগুলি নতুন করে দুঃখ ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে মহালয়ার মতো পবিত্র দিনে।