ব্যুরো নিউজ ১২ নভেম্বর : শীত আসার সঙ্গে সঙ্গেই আলমারিতে থেকে বেরোচ্ছে শীতপোশাক, লেপ-কম্বল। সোয়েটার-জ্যাকেটের চল থাকলেও, শালের আভিজাত্য কিছুতেই হারায় না। এবারের শীতে সেই ঐতিহ্যবাহী শালকে ফিরিয়ে আনুন নিজের স্টাইলে।
জানুন বিভিন্ন শালের বিশেষত্ব
নাগা শাল: নাগাল্যান্ডের এই বিশেষ শাল লাল, কালো, নীল রঙের মিশেলে তৈরি। নাগা সম্প্রদায়ের লোককথা ও যোদ্ধাদের গৌরবগাথা ফুটে ওঠে এতে ব্যবহৃত বিভিন্ন মোটিফে। “চাকশেশাং” নামে পরিচিত এই শালে বাইসন, বাঘ, হাতি, মানুষ, মুরগি, বল্লমের নকশা থাকে। নাগাল্যান্ডের পুরুষদের গায়ে শোভা পায় এই শাল, যা বীরত্বের প্রতীক।
রাবাড়ি শাল: গুজরাটের এই শাল এমব্রয়ডারি ও কাচের কাজের জন্য বিখ্যাত। হাতে বোনা সুতির শালে সিল্কের সুতো ও চেন স্টিচের বৈচিত্র্য মুগ্ধ করে সকলকে। এই শালকে এক কথায় শিল্পকর্ম বলা চলে।
কুলু শাল: হিমাচল প্রদেশের কুলু শাল উজ্জ্বল রঙ ও জ্যামিতিক নকশার জন্য জনপ্রিয়। দেশকর, বিহাং, অস্ট্রেলিয়ান মেরিনো উল এবং অ্যাঙ্গোরা ছাগলের পশমের সংমিশ্রণে তৈরি এই শাল। পুরুষদের জন্য “লোই” নামে শাল থাকে ফিকে রঙে এবং সরু প্যাটার্নে, আর মহিলাদের শালে উজ্জ্বল রঙ ও প্যাটার্ন বেশি দেখা যায়।
মালাইকার সঙ্গে বিচ্ছেদ পর কোন রোগে ভুগছেন অভিনেতা অর্জুন কাপুর?
পশমিনা শাল: কাশ্মীরি ক্যাশমিয়ার ছাগলের সূক্ষ্ম পশম থেকে তৈরি এই শাল তিনগুণ গরম, নরম এবং মজবুত। হাতে এমব্রয়ডারি করা ফুল, কলকা ইত্যাদি নকশা থাকে এতে। “জামেওয়ার” নামে পরিচিত পশমিনা শালের জমি সম্পূর্ণ হাতের কাজ দিয়ে সজ্জিত থাকে।
দোরুখা শাল: কাশ্মীরি ঐতিহ্যের এই শাল “আইন ই আকবরি”-তেও উল্লেখ আছে। আকবরের প্রিয় দোরুখা শালের দুটি পিঠেই থাকে ভিন্ন রঙ ও নকশা। বেডকভার, টেবিল কভার, স্টোল ইত্যাদি সামগ্রীতে দোরুখা নকশার ব্যবহার প্রচলিত। শাল দুদিকে নকশা থাকলে দোরঙা বা দোরুখা এবং একপাশে নকশা থাকলে আকশি দোরুখা নামে পরিচিত।
শাহতুশ শাল: “রিং শাল” নামে খ্যাত এই শাল এতটাই সূক্ষ্ম ও নরম যে আংটির মধ্যে দিয়ে অনায়াসে বের করা যায়। তিব্বত ও লাদাখের উচ্চভূমির তিব্বতি অ্যান্টিলোপ থেকে প্রাপ্ত পশম দিয়ে তৈরি হয় এই শাল, যার মূল্য হাজার হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত হতে পারে।