ব্যুরো নিউজ,১২ নভেম্বর:বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার। এবার, বাংলাদেশের মাধ্যমিক পাঠ্যক্রমে আরবি ভাষা অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে এবং উচ্চমাধ্যমিকেরও পাঠ্যসূচিতে কিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে, একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—বাংলা পাঠ্যবই থেকে চারটি লেখকের লেখা বাদ দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে অন্যতম শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষা আন্দোলন নিয়ে শেখ মুজিবের লেখা ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ আগামী বছর থেকে পাঠ্যবইতে থাকছে না।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন নিয়ে পাক-ভারত উত্তেজনাঃ পিসিবি জানাল, ‘যদি ভারত খেলতে না আসে, আমরা খেলব না’
ভবিষ্যত কি?
শুধু তাই নয়, সোমবার রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবন-এর দরবার কক্ষ থেকে সরানো হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। এ নিয়ে শপথ নেওয়া নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, ‘৭১ পরবর্তী ফ্যাসিবাদী নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দরবার হল থেকে সরানো হয়েছে।’ মাহফুজ আরও জানান, ৫ আগস্টের পরে ছবিটি সরানো সম্ভব হয়নি, সে জন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন।এই পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, পাঠ্যক্রমকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা’-র অনুসারী করা। আরবি ভাষাকে মাধ্যমিক স্তরে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আলিম-ওলামাদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক পাঠ্যবই থেকে বাদ পড়া লেখকদের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়াও রয়েছেন মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এবং মহাদেব সাহা। তাদের লেখাগুলো ‘ফ্যাসিবাদীদের অনুগত’ হিসেবে চিহ্নিত করে বাদ দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু লেখকের লেখা বাদ দেওয়ার বিষয়টি চলছে, তবে তাদের নাম এখনই প্রকাশ করা হয়নি।
কানাডার মন্দিরে খলিস্তানি হামলা, আতঙ্কে বাতিল হিন্দু ক্যাম্প
এদিকে, রবিবার সরকারের তিনজন নতুন উপদেষ্টার নাম ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে, মাহফুজ আলম একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। এছাড়া, শেখ বশির উদ্দিন এবং মোস্তফা সরয়ার ফারুকীও নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে বশিরউদ্দিনের পরিবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কিত, যার ফলে তিনি রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন। ফারুকী, যিনি চলচ্চিত্র নির্মাতা, আওয়ামী লীগের মন্ত্রীদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকও তার সম্পর্কে আপত্তি জানিয়েছেন, তাকে ‘নাস্তিক’ ও ‘ওলেমাদের অপমানকারী’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে সমালোচনা করেছেন। ইউনূস সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত এবং নতুন উপদেষ্টা নিয়োগের কারণে রাজনৈতিক চাপের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি সমর্থক গোষ্ঠী থেকে প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে এই নতুন উপদেষ্টাদের নির্বাচন করা হলো, এবং এটি সরকারের নীতি ও ভবিষ্যতের দিকে কী সংকেত দেয়।