ওড়িশার সিমলিপাল

ব্যুরো নিউজ ২৪ অক্টোবর : পুজোর ছুটির দিন কমে এসেছে। তাই ইচ্ছা করলেও দূরে কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। সারা বছরের এনার্জি জোগাড় করতে নতুন বছরের শুরুতে একেবারে কোথাও না গেলেই নয়।  পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে কাছে-দূরে মোটামুটি সব জায়গাই ঘুরে ফেলেছেন। তাই এবারের  ছুটিতে পাশের রাজ্য ওড়িশায় গেলে কেমন হয়? না না, পুরীর কথা ভাববেন না। সেখানে পাহাড়ও থাকবে, আবার জঙ্গলও থাকবে, এমন জায়গা হলে তো মন্দ হয় না। তা হলে আর ভাবনা কেন? বাক্স প্যাটরা নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন সিমলিপালের উদ্দেশে।

Lawrence Bishnoi ঃ জেলে থেকেও কিভাবে অপারেশন চালান তিনি ?জেনে নিন

ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার অন্তর্গত সিমলিপাল শিমূল গাছের আধিক্যের জন্য নামকরণ হয়েছিল । তবে এই মরসুম যদিও শিমূলের নয়।  প্রায় ২৭৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে অভয়ারণ্য। ১৯৭৯ সালে জাতীয় উদ্যানের তকমা পেলেও ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে পরিচিতি লাভ করে ১৯৮০ সালে। তখন থেকেই সিমলিপাল সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হতে শুরু করে। বাঘ ছাড়াও এই জঙ্গলে দেখা মেলে বুনো হাতি, চিতল হরিণ, বুনো খরগোস, বনবিড়াল, সম্বর, বুনো কাঠবিড়ালি, বুনো শুয়োর, হনুমান এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখির।

কী কী দেখতে পাবেন সেখানে ?

জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে দু’টি ঝর্না দেখা যাবে, শোনা যায় বরহিপানি এবং ঝারান্দা জলপ্রপাতের আওয়াজ। বর্ষায় জলের স্রোত দেখার মত থাকে তবে শীতে খুব বেশি জলের স্রোত থাকে না। পাহাড়ের কোলে যদি কোনও থাকার বন্দোবস্ত করতে পারেন, তবে আলাদা করে আর কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। জঙ্গলে বন্য পশুপাখি দেখার শখ যদি থাকে, তবে এক দিন গিয়েই হাল ছেড়ে দিলে হবে না। জঙ্গলে প্রবেশের জন্য ভিন্ন দু’টি পথ রয়েছে। চেষ্টা করবেন দু’দিন দু’টি আলাদা পথ দিয়ে সাফারি করার। সকাল, বিকেল হেঁটেই ঘুরে আসতে পারেন বুড়িবালাম নদীর ধার থেকে।

ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র আশঙ্কায় ভুগছেন সবজি চাষীরা

কোথায় থাকবেন?

ওড়িশা পর্যটন কেন্দ্রের নিজস্ব বনবাংলোতে থাকতে পারলে খুব ভাল। তবে এই মরসুমে ঘর পাওয়া খুবই কষ্টের। এ ছাড়াও বিভিন্ন দামের এবং মানের বেসরকারি বেশ কিছু হোটেল এবং রিসোর্টও রয়েছে।

কী ভাবে যাবেন?

ট্রেনে হাওড়া থেকে ভুবনেশ্বর আসতে পারেন। ভুবনেশ্বর থেকে সিমলিপালের দূরত্ব ১৯২ কিলোমিটার। সে ক্ষেত্রে গাড়ির ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ ছাড়াও নামতে পারেন বারিপদা স্টেশনে। সময় লাগবে ঘণ্টা পাঁচেক। সেখান থেকে সিমলিপাল পৌঁছতে সময় লাগে আরও আধ ঘণ্টা।সড়কপথে এলে সময় লাগবে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার মতো। এসপ্ল্যানেড থেকে বাস অথবা নিজস্ব গাড়িতে আসতে পারেন। রাস্তা খুবই মনোরম।আকাশপথে আসতে গেলেও নামতে হবে ভুবনেশ্বরে। তার পর গাড়িতে করে পৌঁছতে হবে সিমলিপাল।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর