tmc Arabul Islam

ব্যুরো নিউজ, ১৭ এপ্রিল: মমতার পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করেন আরাবুল ইসলাম। আর এরপরেই আরাবুলের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিল দল।

পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগের মাশুল!

‘মমতার আশ্রয়েই রয়েছে রাষ্ট্র বিরোধী, সংবিধান বিরোধী, ভারত বিরোধী… গ্যাং’

কিছুদিন আগেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দারস্ত হন আরাবুল ইসলাম। তার অভিযোগ, পুলিশের অতিস্বক্রিয়তা। অতিস্বক্রিয় হয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে পুলিশ।

ঘটনার সূত্রপাত গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন খুন হন আইএসএফ কর্মী মইনুদ্দিন মোল্লা। খুনের অভিযোগ ওঠে আরাবুলের বিরুদ্ধে। গত বছর ১৫ জুন মামলাও দায়ের করা হয়। কিন্তু তারপর থেকে সবই ঠাণ্ডা হয়ে যায়। কিন্তু এ বছর ৮ ফেব্রুয়ারি আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তোলাবাজি ও খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আরাবুল ইসলামকে।

অভিযোগ ওঠে, ভাঙড়ে লক্ষ লক্ষ টাকার তোলাবাজি চালিয়ে আসছে আরাবুল ইসলাম। আইএসএফ কর্মী খুনের মামালার সঙ্গে পুলিশ তোলাবাজির অভিযোগের ধারাও যুক্ত করে বলে অভিযোগ। আর পুলিশের এই অতিসক্রিয়তা নিয়েই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে যান আরাবুল। নির্বাচনের আগে পুলিশ অতি স্বক্রিয় হয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। ভাঙরের নেতা আরাবুল এই মর্মেই মামলা দায়ের করার আবেদন জানালে, মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

‘মির্জা’ নিয়ে কি বলছেন অঙ্কুশ?

এক সময়ে ভাঙড়ে তৃণমূলের মূল কাণ্ডারি ছিলেন আরাবুল।  আর সেই আরাবুলই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ জানান। এরপরেই আরাবুলের বিরুদ্ধে দলের তরফে বড় পদক্ষেপ। লোকসভা নির্বাচনের আগেই ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক (কনভেনর) পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল আরাবুল ইসলামকে।

এই বিষয়ে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন,  দলের দায়িত্ব ও ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে আমরা এই নির্বাচন করছি। এর পাশাপাশি তিনি এও জিনানা যে, আরাবুল ইসলাম এখন দলের কোনও পদে নেই। তবে তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে রয়েছেন। আর ভবিষ্যতে তিনি দলের অনুগত সদস্য হয়েই কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন শওকত মোল্লা। তবে তিনি যদি তা না করেন তবে দল পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর