The closest city to space

ব্যুরো নিউজ,১২মার্চ: লা রিনকোনাদা, পেরুর আন্ডেস পর্বতমালার এক মনোমুগ্ধকর শহর, মহাকাশের সব থেকে কাছের শহর হিসেবে পরিচিত। এটি এমন একটি স্থান যেখানে বসবাসকারীরা পৃথিবীর অন্যান্য শহরের তুলনায় মহাকাশের সব থেকে কাছাকাছি বসবাস করেন। শহরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫,১০০ মিটার (১৬,৭০০ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত, যা পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থায়ী জনবসতির রেকর্ড ধরে রেখেছে। এই শহরকে ঘিরে এক অদ্ভুত রহস্য এবং সৌন্দর্য রয়েছে, যা একে বিশেষ করে তোলে।

লা রিনকোনাদা এক বিপদসংকুল এবং প্রতিকূল পরিবেশে অবস্থিত

জীবদ্দশায় ৬৯ টি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এই নারী, এখন তার নাম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নথিভুক্ত!কে তিনি?

শহরটির প্রধান অর্থনৈতিক কার্যক্রম হল সোনা খনন। লা রিনকোনাদায় প্রায় ৫০,০০০ মানুষের বসবাস, যারা মূলত সোনা খনিতে কাজ করেন। এখানে সোনার খনি গুলি বেশিরভাগ ছোট  যেখানে শ্রমিকেরা সাধারণত “কাচোরো সিস্টেম”-এ কাজ করেন। এই সিস্টেমে শ্রমিকেরা মাসের শেষে স্বর্ণের কিছু অংশ সংগ্রহ করার সুযোগ পান, তবে সোনার পরিমাণ ভাগ্যের উপর নির্ভর করে।

দোল খেলতে আর ভয় নেই হবে না ত্বকের কোন সমস্যা। পালন করুন এই নিয়মগুলি

লা রিনকোনাদার আবহাওয়া অত্যন্ত শীতল এবং বর্ষার বেশিরভাগ সময়ই তুষারে ঢাকা থাকে। উচ্চতা এবং শীতল পরিবেশের কারণে এখানে বসবাস করা শারীরিকভাবে অত্যন্ত কঠিন, কারণ শহরের বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ সমুদ্রপৃষ্ঠের তুলনায় অনেক কম। আরও একটি বড় সমস্যা হল পরিবেশ দূষণ, বিশেষত খনিজ উত্তোলন এবং সোনা আহরণের কারণে জল ও বায়ু দূষিত হয়ে পড়ে। শহরের সরকারি সেবা খুবই সীমিত, ফলে স্যানিটেশন, পানীয় জল এবং স্বাস্থ্যসেবার অভাব প্রকট। অধিকাংশ বাসিন্দাই অর্থনৈতিকভাবে অসুবিধায় রয়েছেন এবং এখানে জীবনযাত্রা অনেক কঠিন।

মনকে শান্ত করতে ঘুরে আসুন ডুয়ার্সের অজানা জঙ্গল চিলাপাতা ফরেস্ট

এছাড়া, লা রিনকোনাদা শহরের জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো পানীয় জল সরবরাহ। এখানে ভূগর্ভস্থ জল অত্যন্ত গভীরে, এবং জল উৎসগুলির প্রাপ্যতা সীমিত। তবে, স্থানীয়রা হিমবাহ গলন থেকে জল সংগ্রহ করে এবং বরফ গলিয়ে পানীয় জল তৈরি করে থাকেন। এছাড়া, অনেকেই ছোট ঝর্ণা বা জলাধার থেকে জল সংগ্রহ করেন এবং তা সংরক্ষণ করে রাখেন। তবে, সোনা খননের কারণে, এখানে জল দূষিত হয়ে পড়ে, বিশেষত খনিজ উত্তোলন থেকে বের হওয়া পারদ এবং অন্যান্য বিষাক্ত উপাদান জলকে অনুপযোগী করে তুলেছে।

এখানকার সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক দিকেও রয়েছে বৈচিত্র্য। শহরের মানুষ মূলত অ্যান্ডিয়ান সংস্কৃতি এবং ভাষার ধারক, এবং এখানে নানা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব পালিত হয়। যদিও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ এবং অর্থনৈতিক সংকট অনেক, তবুও লা রিনকোনাদার অনন্য ভূগোল এবং সৌন্দর্য কিছু অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটকদের আকর্ষণ করে। তবে, শহরের ভবিষ্যৎ বেশ উদ্বেগজনক, কারণ পরিবেশের অবনতির কারণে এখানকার বাসযোগ্যতা আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে।

এভাবে, লা রিনকোনাদা এক বিপদসংকুল এবং প্রতিকূল পরিবেশে অবস্থিত হলেও, এটি পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে, যেখানে মানুষের সাহসিকতা এবং সংগ্রাম প্রতিদিনই পরীক্ষা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর