ব্যুরো নিউজ, ২৩ ফেব্রুয়ারি: আলিপুরে ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহের কাছে সূর্য সেন বাস্তুহারা কলোনির বাসিন্দা বছর দেড়েকের শ্লোক জায়সওয়াল। বুধবার রাত ১১ নাগাদ বাবা সঞ্জয় জায়সওয়াল ও মা জুহি সিংহের সাথে মোটরবাইকে করে ভবানীপুরের একটি বিয়েবাড়ি থেকে ফিরছিল একরত্তি ওই শিশুটি।
ট্রেলারের চাকায় পিষ্ট শিশু
মোটরবাইকের পিছনের সিটে মায়ের কোলে বসেছিল সে। শ্লোকের বাবা জানিয়েছে, আলিপুরের ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহের কাছে ঠাকরে রোডের বাঁ দিক চেপে যাচ্ছিলেন তারা। সেই সময় হঠাৎ একটি ট্রেলার তার বাইকটিকে আরও বাঁ দিকে চাপতে থাকে। সেই সময় মোটরবাইকের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়ে যায় ৩ জন। স্বামী-স্ত্রী দুজনে পড়েন ফুটপাতের পাশে। তবে কোলের ওই একরত্তি ছিটকে পড়ে ট্রেলারের চাকার দিকে! সঙ্গে সঙ্গে ট্রেলারের চাকার নীচে পিষে যায় ওই শিশুর দেহ।
এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা শিশুটিকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপর সেখানে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা ঘাতক ট্রেলারটিকে আটক করে। গ্রেফতার করা হয় ট্রেলারচালক ট্রেলারচালক সঞ্জয় রজককে। গোটা ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে হঠাৎ চুপ হয়ে যায় শিশুটির বাবা। কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন শিশুটির মা। এরপর কান্নায় ভেঙে পড়েন দুজনেই। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকা জুড়ে।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৃত ওই শিশুর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে ট্র্যাফিক পুলিশের ব্যাবস্থাপনা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছে। তাদের মনের মধ্যে ওঠা এই প্রশ্নের উপর পাল্টা প্রশ্ন উঠেছে, কেন বাবা- মায়ের মাথায় হেলমেট থাকলেও ওই শিশুর মাথায় হেলমেট ছিল না? প্রতিদিন অসচেতনতার ফলে রাস্তায় দুর্ঘটনার পরেও সতর্ক নন অভিভাবকেরা? ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে লালবাজার জানিয়েছে, এই ঘটনার পরে নতুন করে হেলমেট সুরক্ষার প্রচার শুরু করার কথা ভাবছে তারা। ইভিএম নিউজ