ব্যুরো নিউজ, ১৩ ফেব্রুয়ারি: সেমেস্টার পরীক্ষায় বসা নিয়ে শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, পরীক্ষা শুরুর প্রায় এক ঘণ্টা পর পরীক্ষা দিতে পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে পৌঁছন ছাত্র। তখন পরীক্ষা শুরু হয়ে পেড়িয়ে গিয়েছে প্রায় ১ ঘণ্টা ১০টা মিনিট। ছাত্রটির দাবি তখনই তাকে পরীক্ষায় বস্তে দিতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট অবধি ছাড় দেওয়া যায়। তবে, ১ ঘণ্টা অতিক্রান্ত মানে অনেকটা সময়। ততক্ষণে অনেকে পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়েও গিয়েছে। এর মানে প্রশ্নপত্রও বাইরে চলে গিয়েছে। সেখানে কোনওভাবেই পরীক্ষার্থীকে ছাড় দেওয়া যায় না। এমনটাই দাবি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি ভেন্যু ইনচার্জ অরিন্দম ঘোষের।
ছাত্র রাজনীতির ক্ষমতা! শিক্ষকদের দেওয়া হচ্ছে ‘শিক্ষা’
দুবরাজপুর ব্লকের হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজে সোমবার ঘটে এই ঘটনা। আর তার জেরেই উত্তেজনা ছড়ায় কলেজ চত্বরে। অভিযোগ, ওই ছাত্রকে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ায় অধ্যাপক-অধ্যাপিকা-সহ অন্যান্য কর্মীদেরও তালা বন্ধ করে আটকে রাখে ছাত্রদের একাংশ। অভিযোগ ওঠে এই ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্ররাই জড়িত।
কলেজ অধ্যাপক জানান, পরীক্ষায় বসার একটা নিয়ম আছে। সকলকেই সেটা মানতে হয়। দুম করে যে কোনওসময় এসে পরীক্ষায় বসতে চাইলেই সেই অনুমতি দেওয়া যায় না।
সুকান্ত বাহিনীকে ‘রুখতে’ বসিরহাট জেলা পুলিশের অফিস চত্বরে ১৪৪ ধারা
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি ভেন্যু ইনচার্জ অরিন্দম ঘোষের অভিযোগ, পরীক্ষায় বসতে দিতে রাজি না হওয়ায় তাদের হুমকি দেওয়া হয়। এদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত তাদের আটকে রাখা। সেখানে অরিন্দম ঘোষ-সহ অন্যান্য অধ্যাপক অধ্যাপিকারাও ছিলেন তালাবন্দি। এই অবস্থায় অসুস্থও হয়ে পড়েন তিনি।
এদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি, রাস্তায় যানজটের কারণে কিছু ছাত্রছাত্রীর কলেজে আসতে দেরি হয়েছে। যারা পরীক্ষা দিতে পারেননি তাদের অবিলম্বে পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। অধ্যাপকরা তাঁদের পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ায় তালা বন্ধ করে রেখেছি।