ব্যুরো নিউজ,২৪ ডিসেম্বর:চায়ের উপকারিতা আর অপকারিতা নিয়ে বরাবরই দ্বিধা ছিল। কেউ বলতেন, চা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক, আবার কেউ বলতেন, চা ক্লান্তি দূর করে। দুধ চা, লিকার চা, গ্রিন টি, ভেষজ চা— প্রতিটিরই ভিন্ন প্রভাব রয়েছে। চায়ে থাকা ট্যানিন যেমন শরীরকে উদ্দীপনা জোগায়, তেমনই নেশাও তৈরি করতে পারে। তবে চা নিয়ে এত বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে সম্প্রতি আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ঘোষণা করেছে যে, চা একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়।
আমির খানের ছেলে জুনায়েদ এ কি বললেন বাবার সম্পর্কে?
চা পানের স্বাস্থ্যকর দিক
এফডিএ-এর স্বীকৃতির পর ভারতীয় ‘ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন’ এবং ‘নর্থ ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন’-ও চা নিয়ে ইতিবাচক মত প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, চা সকলের জন্যই নিরাপদ। ভারতে প্রতিদিন সকাল শুরু হয় এক কাপ চা দিয়ে। কাজের চাপ হোক বা আড্ডার সময়, এক কাপ চা মনের ক্লান্তি দূর করতে সহায়ক।চা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল কিছু গবেষণার পর। বলা হয়েছিল, চায়ে এমন কিছু উপাদান থাকে যা ক্যানসারের কারণ হতে পারে। বেশি চা পানে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও করা হয়েছিল। ভারতের চা বোর্ড জানিয়েছিল, অনেক সংস্থা চা উৎপাদন এবং প্রস্তুতের সময় গুণমান বজায় রাখে না। নিষিদ্ধ কীটনাশক এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল।
মাত্র দু সপ্তাহে প্রাকৃতিক উপায়ে সাদা চুল কালো করুন
এফডিএ-এর ঘোষণা অনুযায়ী, সঠিক গুণমান মেনে চা প্রস্তুত হলে এটি শরীরের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। চায়ের উপাদানগুলো, যেমন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, শরীরের পক্ষে উপকারী। তবে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাই চা কেনার সময় গুণমান যাচাই করা উচিত।চায়ের উপকারিতা এবং অপকারিতা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বর্তমানে চা প্রেমীরা নিশ্চিন্ত। বিশ্ব জুড়ে চা এখন শুধু পানীয় নয়, এটি অনেকের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ।