ব্যুরো নিউজ, ৭ জুন : রাজ্যে ৩০ টি আসনের লক্ষ্য ছিল বঙ্গ বিজেপির। তবে সে সংখ্যা তো দুরাস্ত! তার ধারে কাছে যেতে পারেনি গেরুয়া শিবির। এমনকি নিজেদের জেতা আসনও হাত ছাড়া হয়েছে। গতবারের লোকসভা ভোটের তুলনায় এবারে আরও তলানিতে নেমেছে বিজেপির গ্রাফ। অন্যদিকে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ভুড়ি ভুড়ি দুর্নীতির অভিযোগ, এমনকি সেই দুর্নীতিতে শ্রিঘরেও রয়েছেন রাজ্যের নেতা, মন্ত্রীরা। তার পরেও চারদিকে সবুজের জয় জয়কার কেন? কি বলছেন মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বিজেপি নেতা তথাগত রায়?
‘দেশ এই আচরণ মাফ করে না’, গ্যারান্টি কার্ড ইসুতে কংগ্রেস-সহ ইন্ডি জোটকে কটাক্ষ মোদীর!
এবারের লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি মূলত রাজ্যবাসীকেই ‘দোষী’ ঠাওরেছেন। তাঁর মতে, রাজ্য সরকারের সব দুর্নীতি, চুরি ঢাকা পড়ে গিয়েছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’। তবে এর একটা ভয়াবহ পরিণাম আছে। একইসঙ্গে তিনি এও বলেন, পৃথিবীর নিয়ম- কিছু পেতে গেলে কিছু দিতে হয়। আর আজ রাজ্যের মানুষের মানসিকতা হল, বিনা পরিশ্রমে টাকা পাওয়া। আর সেটাই শিখিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়িতে বসে আহার-নিদ্রা করেই যদি টাকা পাওয়া যায়, তাহলে তার থেকে বেশি আনন্দ আর কিছু নেই।
আর এসবের ফল যে খুবই ভয়াবহ হতে চলেছে তাও বলেন তিনি। সারদা, রোজভ্যালি চিটফান্ড কেলেঙ্কারির কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, সিপিএম আমলে সঞ্চয়িতার মতো স্কিম ছিল। এরপরে সারদা, রোজভ্যালি হল। মানুষের টাকা চুরি গেল। তারপরও মানুষ শেখেনি। আর এখনও কিছু না করেই টাকা পেতে পছন্দ করে মানুষ। তবে এর ফল অত্যন্ত দুঃখজনক ও ভয়াবহ হবে বলেই জানান তিনি।