ব্যুরো নিউজ,১৪ নভেম্বর:রাজ্য শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে একাদশ শ্রেণির ছাত্রদের জন্য ট্যাব দেওয়ার প্রকল্পে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। এখন থেকে প্রধান শিক্ষকরা আর ট্যাবের টাকা পাঠানোর তথ্য আপলোড করবেন না। পরিবর্তে, পড়ুয়াদের নিজেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য পোর্টালে আপলোড করতে হবে। এতে যদি কোনো গরমিল বা ভুল হয়, তবে তার দায় ওই ছাত্র বা ছাত্রীকেই নিতে হবে।
সঞ্জয় রায়ের অস্বাভাবিক আচরণঃ আদালতে ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে নতুন চর্চা
দায়িত্বহীনতা
এমন সিদ্ধান্তে শিক্ষকদের একাংশ খুশি হলেও, অনেকেই এর ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিশেষ করে, একাদশ শ্রেণির ছাত্ররা অধিকাংশই নাবালক। তাই একজন নাবালকের হাতে এমন গুরুতর দায়িত্ব দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। যদি কোনো ভুল বা দুর্নীতি ঘটে, তবে সেক্ষেত্রে ঐ ছাত্র বা ছাত্রীকেই সব দায় নিতে হবে, এমনকি তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগও দায়ের হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, কেন রাজ্য সরকার তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করে ছাত্রদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।
মেদিনীপুরে ভোটের পর মুড়ি চানাচুরঃ তৃণমূলের নতুন কৌশল, বিরোধীদের দাবি ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা
ট্যাব কেলেঙ্কারি নিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি পুলিশ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই সাইবার ক্যাফের মালিক। তারা সেখান থেকে টাকা জালিয়াতি করে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। উত্তর দিনাজপুর ও মালদার বেশ কিছু বাসিন্দাও এই ঘটনায় জড়িত। তদন্তকারীদের মতে, এই টাকার লেনদেন এবং কারচুপির ঘটনায় চাষি ও দিনমজুরদের অ্যাকাউন্টও ব্যবহার করা হয়েছে।এই ঘটনায় সরকারের উপর চাপ বাড়ছে, কারণ একদিকে ছাত্রদের উপকারিতার জন্য ট্যাব দেওয়া হলেও, অপরদিকে প্রশাসনিক অবহেলা এবং দুর্নীতি ও দায়িত্বহীনতার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসছে।