ব্যুরো নিউজ ৫ সেপ্টেম্বর: এ বছরের দুর্গাপুজো যেন এক নতুন মাত্রা নিয়ে এসেছে। এই পুজোয় স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় সিমা আর্ট গ্যালারির শাড়িতে সাজলেন, যেখানে একদিকে দ্রোহের স্পর্শ, অন্যদিকে ফ্যাশনের সৌন্দর্য।
পুজোর মুখে বাজারে মূল্যবৃদ্ধির এক ধাক্কায়
দেখে নিন স্বস্তিকার নিউ লুক
স্বস্তিকার পুজোর সাজে ছিল কখনও রক্তকরবীর নন্দিনীর ছোঁয়া, আবার কখনও ফ্রিদা কাহলো। তিনি বরাবরই পোশাকের ক্ষেত্রে ছক ভাঙতে চান। তাই তিনি বেছে নিয়েছেন একটি লাল টুকটুকে সুতির কাঞ্চিপূরম শাড়ি, যার সারা গায়ে ছোট্ট সোনালি জরির কাজ। ব্লাউজের বদলে তিনি কাফতান পরেছেন এবং গলায় মণিপুরি হার, খোঁপায় লাল রঙ্গন ফুল, হাতে শাঁখা নিয়ে ছবি তুলেছেন। স্বস্তিকার পরবর্তী সাজে ছিল প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মিশ্রণ, একটি খাঁটি তসরের শাড়ি । শাড়ির সঙ্গে একটি হালকা রঙের জ্যাকেটও ছিল, যাতে কাশ্মীরি কাজের নকশা। পিঠে লেখা ‘পিস্’, অর্থাৎ শান্তি। তিনি জানান, কলকাতার গরমের কথা মাথায় রেখেই এই সাজ।অভিনেত্রী ফুলের প্রতি তার ভালবাসা নিয়ে বলেন, “ফুল আমার প্রিয়। আমি পুজোর দিনগুলোতে ফুল দিয়ে নিজেকে সাজাতে চাই।” স্বস্তিকা ফ্রিদা কাহলোর প্রতি তার আকর্ষণও প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ফ্রিদা এমন একজন নারী, যিনি সময়ের সীমানা ভেঙে আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তার সাজগোজের আদর্শ আমাকে অনুপ্রাণিত করে।
শুভেন্দুর অভিযোগঃ বোনাসে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য!
নবমীর রাতে স্বস্তিকা বেছে নিয়েছিলেন একটি সোনালি টিস্যুর শাড়ি, যা গয়না শাড়ি নামকরণের যোগ্য। এই শাড়ির সঙ্গে তিনি খুব বেশি গয়না পরেননি, কপালে লাল টিপ, চুলে লাল ফুল।এই বছর, স্বস্তিকার সাজে রয়েছে প্রতিবাদের সুর, ফ্যাশনের রং। একদিকে শাড়ির ঐতিহ্য, অন্যদিকে আধুনিকতার ছোঁয়া—পুজোর এই সাজ যেন এক নতুন পথের দিশারি।