ব্যুরো নিউজ, ৯ ফেব্রুয়ারি: স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে মালদার মানিকচকে সক্রিয় দালালচক্র। তাও আবার একেবারে ব্লক অফিস চত্বরে। ওই এলাকার উপভোক্তারা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করতে এসে খালি হাতেই ফিরে যেতে হয় তাদের। দালালদের তরফে তাদের জানানো হয়, ৭০০ টাকা দিলেই মিলবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড।
ছবি তোলার জন্য দিতে হবে না কোন লাইন। ঘটনাকে ঘিরে মালদা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তাঁরা ব্লক প্রশাসনকে জানালেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। ঘটনাটি কানে শুনলেও লিখিত অভিযোগ না হওয়ায় কোন রকম পদক্ষেপ গ্রহণই করেন নি ব্লক প্রশাসন।
লাইন ছাড়াই মিলবে সরকারী পরিষেবা
ঘটনা সম্পর্কে জানা গিয়েছে, বিগত দুইদিন ধরে মানিকচক ব্লক কমিউনিটি হলে ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড প্রদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। এদিন এই শিবিরে ধরমপুর, নূরপুর ও মানিকচক অঞ্চলের বেশ কিছু বাসিন্দা কার্ড করতে আসলে তাদের আবেদনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বলে শিবির থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
কেন সরস্বতী পুজোয় প্রচলিত হাতেখড়ির রীতি?
তবে এই শিবির থেকে বেরোতেই বেশ কিছু দালাল তাদের দেখতে পেয়ে বলে ৭০০ টাকা দিলেই তাদের তৎক্ষণাৎ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করে দেওয়া হবে। যা দেখে রীতিমতো হতভম্ব হয়ে পড়েন উপভোক্তারা। পরবর্তীতে এই ঘটনা জানাজানি হতেই সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের দেখে সেখান থেকে চম্পট দেয় দালালরা। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরিতে ব্লক অফিস চত্বরে যে দালাল চক্র সক্রিয় সেই বিষয়ে তারা স্পষ্ট দাবি জানিয়েছেন।
নুপুরের গৃহবধূ আশা খাতুন জানান, আমরা সকাল থেকেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু আমাদের আবেদনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে বলে আমাদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সময় ব্লক চত্বরে থাকা দালালেরা বলেন টাকা দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। ৭০০ টাকা দিলেই হবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। কিন্তু আমাদের কাছে টাকা না থাকায় আমরা কার্ড করতে পারলাম না। ইভিএম নিউজ