ব্যুরো নিউজ, ৬ সেপ্টেম্বর:আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সন্দীপ ঘোষ সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। কিন্তু সারা মিলল না সুপ্রিম কোর্ট থেকে। ফলে ভয়ংকর চাপের মুখে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী কোর্ট কে জানান ধর্ষণ এবং আর্থিক দুর্নীতি দুটো একসাথে আনাটা অনাচারের মধ্যে পড়ে। সিবিআই এবং ইডি যে তদন্ত গুলো করছে সেগুলোও যেন না করা হয় এরকমটাই আবেদন করা হয়। তার সাথে সাথে সন্দীপ ঘোষ যেন সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ পান তার আবেদন করেন। সন্দীপ ঘোষের দুর্নীতি মামলা গুলো না চলারও আবেদন করা হয়। কিন্তু এইসব আবেদনের সারা মিলল না সুপ্রিম কোর্ট থেকে।
আরজি কর কান্ডের শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে কারন কি? কবে হবে শুনানি?
সিবিআই এবং ইডি একসাথে নামবে তদন্তে
সমস্ত আবেদন খারিজ হয়ে গেল সন্দীপ ঘোষের। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়া মানে সিবিআই এবং ইডি কোন ভয় ছাড়াই এবং সুপ্রিম কোর্টের কোন অর্ডার ছাড়াই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্তে নামতে পারবেন। রক্ষাকবচ না মেলায় সন্দীপ ঘোষ এর সাথে তার সাগরেদদেরও এবার ভয়ংকর জেরার মুখে পড়তে হবে।সন্দীপ ঘোষ কে যারা যারা সাহায্য করেছিল, সন্দীপ ঘোষের আর্থিক দুর্নীতি , সমস্ত অভিযোগ কে ধামাচাপার দেওয়ার চেষ্টা, আর জি কর কাণ্ডের মৃতা তরুণী চিকিৎসক সমস্ত কিছু জেনে গিয়েছিল কিনা, সন্দীপ ঘোষের উপর কোন রাজনৈতিক নেতার হাত আছে কিনা এই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে ই ডি এবং সিবিআই উপরমহল পর্যন্ত তদন্তে পৌঁছে যাবে। সন্দীপ ঘোষের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার ফলে এতদিনে হয়তো সমস্যার সমাধান হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে আরো একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য আনলেন নির্যাতিতার বাবা-মা
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে ধর্ষণ এবং আর্থিক দুর্নীতি এই দুটো ঘটনা কে আলাদা করো দেখা সম্ভব নয় কারণ দুটো ঘটনাই একে অপরের সাথে যুক্ত। সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত জিনিস ভালোভাবে দেখে , শুনে এবং বুঝেই সন্দীপ ঘোষের মামলা রিফিউজ করেছে। সন্দীপ ঘোষ সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে যে আখতার আলী তার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির যে অভিযোগ এনেছেন তিনি নিজেও কিন্তু প্রচুর দুর্নীতির সাথে যুক্ত। এই কথা শুনে কোর্ট বলেছে আখতার আলী দুর্নীতি করে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । তাই বলে এই নয় যে সন্দীপকে ছাড় দেওয়া হবে। এবার সিবিআই এবং ইডি একসাথে সমস্ত বাধা এবং কোন সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার ছাড়াই সন্দীপ ঘোষের আরজি কর হত্যাকান্ডে তার ভূমিকা, সন্দীপ ঘোষের আর্থিক দুর্নীতি , কেলেঙ্কারি ,টেন্ডার না দেখে হাসপাতালের সরকারি জায়গা তৃণমূল নেতাদের দিয়ে দেওয়া , হাসপাতালের ভেতর অবৈধ ভাবে ক্যাফে খুলতে দেওয়া ,অবৈধ পার্কিং লটের ব্যবস্থা করে দেওয়া এই সমস্ত কিছুর তদন্তে নামবেন তারা।