ব্যুরো নিউজ ১২ জুন: এক বছর পরই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই উত্তপ্ত রাজ্যের রাজনীতি, বিশেষত মহেশতলার সাম্প্রতিক ঘটনা কেন্দ্র করে। মঙ্গলবার দুপুরে মহেশতলার রবীন্দ্রনগর এলাকায় দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে হঠাৎই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের সামনেই ঘটে ভাঙচুর ও ইটবৃষ্টি। এতে আহত হন একাধিক পুলিশ আধিকারিক এবং ভাঙচুর করা হয় প্রায় ১২টি পুলিশের গাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হয়।
মমতা মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না !
এই ঘটনার পরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি অভিযোগ করেন, “মহেশতলায় ৩৫ জন পুলিশ মার খেয়েছেন। এটা জেহাদিদের সরকার। লিখে রাখুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না।” তিনি আরও দাবি করেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে এবং কেন্দ্রীয় আধাসেনা মোতায়েন না করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়।
রাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ক্রমবর্ধমান : আরামবাগে অব্যবস্থা, নবান্নের সামনে টোটোর বলি সিভিক
শুভেন্দু এদিন রাজ্য পুলিশের ডিজি-র সঙ্গে দেখা করতে ভবানী ভবনে পৌঁছলেও, সেই সাক্ষাৎ হয়নি। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে ডিজি তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি, যা রাজ্যের প্রশাসনিক অদক্ষতার প্রমাণ।
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “যেখানে একটা আপত্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেখানে প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। সংঘাত থাকতেই পারে, তবে পুলিশ ও পাড়ার মানুষ মিলে পরিস্থিতি সামলে নিয়েছে।”
সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করল ভারত, তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে পাকিস্তানে জলসংকট
রাজ্য রাজনীতিতে এই ঘটনা বড় প্রভাব ফেলেছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি দাবি করছে, তারা সরকার গড়তে প্রস্তুত। শুভেন্দুর এই বক্তব্য সেই দাবিকেই জোরদার করেছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আগামীকাল রাজ্য বিধানসভা উত্তাল হবে।”
মহেশতলার এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হল, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। ভোটের আগে এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি যে আরও বাড়বে, তা বলাই যায়।