ব্যুরো নিউজ ১৩ জুন: এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন করে চাঞ্চল্য! তদন্তে এ বার উঠে এল একটি অজানা অডিয়ো-ভিডিয়ো ক্লিপ, যা রীতিমতো আলোড়ন তুলেছে তদন্তকারী সংস্থা CBI-এর অভ্যন্তরে। আলিপুর আদালতে বৃহস্পতিবারের শুনানিতে এই তথ্য সামনে আসে।
পাঁচ অভিযুক্তের কণ্ঠস্বর নমুনা নিতে চায় CBI
সিবিআইয়ের দাবি, ওই ক্লিপ থেকেই উঠে এসেছে এক বৃহৎ ষড়যন্ত্রের ছক, যেখানে সরাসরি জড়িত রয়েছেন পাঁচজন অভিযুক্ত — সুবীরেশ ভট্টাচার্য, পর্ণা বসু, নীলাদ্রি দাস, সমরজিৎ আচার্য এবং পঙ্কজ বনসল।এই পাঁচজনের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য ইতিমধ্যেই আদালতের অনুমতি চেয়েছে CBI। যদিও অডিয়ো-ভিডিয়োর উৎস কোথা থেকে এসেছে, সে বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ সংস্থা। তারা জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে এখনও সেই তথ্য ‘গোপনীয়’। তবে বিচারকের পরামর্শে CBI আদালতকে একটি ‘কনফিডেনশিয়াল নোট’-এর মাধ্যমে সূত্র জানাবে।
‘সোপ নেল’ এখন বলিউড থেকে সাধারণ মহিলার পছন্দ, কীভাবে করবেন আপনি?
এর আগে কালীঘাটের কাকু নামে পরিচিত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের একটি অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। এবার নতুন এই ক্লিপে উঠে এসেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রা—যা প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির বাইরেও বিস্তৃত পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সিবিআই দাবি করছে, অভিযুক্তরা আগেই চার্জশিটভুক্ত এবং এই নতুন ক্লিপের মাধ্যমে তাঁদের ষড়যন্ত্রের প্রমাণ আরও জোরালো হচ্ছে।
বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে প্রাণে মেরে ফেলার ধমকি
তবে, অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত প্রশ্ন তুলেছেন অডিয়ো-ভিডিয়োর উৎস ও সময় নিয়ে। তাঁর বক্তব্য, “তদন্ত তো বহুদিন ধরেই চলছে। প্রথম চার্জশিট দেওয়ার পর আরও দুটি চার্জশিট জমা হয়েছে। এখন হঠাৎ এমন এক ক্লিপ হাজির করা হচ্ছে—এটি সত্যিই প্রামাণ্য, না কি বানানো?” তিনি আরও বলেন, “আমরা তদন্ত নিয়ে নয়, বরং ক্লিপটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছি।”
আইনি মহল মনে করছে, এই নতুন অডিয়ো-ভিডিয়ো ক্লিপ SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এক মোড় ঘোরানো মোক্ষম চাবিকাঠি হতে পারে। যদি এই ক্লিপ সত্য প্রমাণিত হয় এবং অভিযুক্তদের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে মিলে যায়, তবে তাতে প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে সরাসরি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আরও শক্তিশালী হবে।
এখন প্রশ্ন—আদালত কণ্ঠস্বর নমুনা নেওয়ার অনুমতি দেয় কি না এবং সেই নমুনা ক্লিপের সঙ্গে মেলে কি না, তা নিয়ে। সিবিআইয়ের তরফ থেকে যে উচ্চপ্রোফাইল তদন্তের আভাস দেওয়া হয়েছে, তাতে এই মামলার ভবিষ্যৎ পরিণতি রাজ্য রাজনীতিতেও বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।