sniffer dog at sandeshkhali

ব্যুরো নিউজ, ২৭ এপ্রিল: সন্দেশখালিতে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা, বিস্ফোরক উদ্ধারে NSG কমান্ডো, রোবট এর পাশাপাশি মাঠে নামে অফিসার র‍্যাংকের স্নিফার ডগও। সাধারণত কোন বিস্ফোরক উদ্ধারে, কোন অবৈধ জিনিসের সন্ধানে, অথবা রহস্য ভেদে স্নিফার ডগ ব্যবহার করা হয়। পাণ্ডব গোয়েন্দার পঞ্চুকে নিশ্চয়ই আমাদের কম-বেশি সকলেরই মনে আছে। বাবলু, বিলু, ভোম্বল, বাচ্চু, বিচ্ছুর দলের মধ্যমণি ছিল পঞ্চু। তাদের যেকোনো ধরনের রোমাঞ্চকর অভিযানে পঞ্চুর ভূমিকা কিন্তু ছিল অনস্বীকার্য। পাণ্ডব গোয়েন্দায় পঞ্চু স্রষ্টা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়ের কল্পনা হলেও বাস্তবে কিন্তু যে কোনো রহস্য ভেদে প্রশিক্ষিত চারপেয়র ভূমিকা কোন অংশ কম নয়।

সামনের ও পিছনে রয়েছে ইনফ্রারেড ক্যামেরা!সন্দেশখালির সৌজন্যে প্রথমবার দেখল রাজ্যবাসী ‘ক্যালিবার টি-৫’

এবার স্নিফার ডগ-এর প্রশিক্ষণ, তারা কীভাবে কাজ করে জেনে নেওয়া যাক-

স্নিফার ডক-কে বাংলায় ‘গন্ধশোঁকা কুকুর’ বলা যেতে পারে। বাস্তবে, টেলিভিশনের পর্দায় বহুবার আমরা তাদের দেখে থাকি। বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর সদস্য যেমন পুলিশ, সিআইডি, মাদক বিরোধী স্পেশাল দল, কাস্টমস অফিসার ইত্যাদির ‘ডগস্কোয়াড’ দলের সাথে দেখা যায় স্নিফার ডগকে। এদের প্রধানত লুকিয়ে রাখা মাদক খুঁজে পেতে ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র, রাসায়নিক দ্রব্য, বোমা, টাকা ইত্যাদি খুঁজে পেতেও বিভিন্ন অভিযানে ব্যবহার করা হয়।

মূলত গন্ধ শোঁকার মাধ্যমে এ ধরনের জিনিসপত্র খুঁজে পেতে সাহায্য করে স্নিফার ডগ। কুকুরদের প্রকৃতিগতভাবেই রয়েছে প্রখর ঘ্রাণশক্তি। আবার কুকুরদের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে কয়েকটির রয়েছে অন্যদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি ঘ্রাণশক্তি। এরকম প্রজাতির কুকুরদেরকেই মূলত স্নিফার কুকুর হিসেবে বাছাই করা হয়।

এবার দেখে নেওয়া যাক কীভাবে এই কুকুরগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়-

যেকোনো কুকুরকেই প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে। তবে কিছু বিশেষ প্রজাতির কুকুর রয়েছে যাদের অন্যান্য সাধারণ কুকুরদের তুলনায় রয়েছে উন্নত ঘ্রাণশক্তি। যেমন- সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন দলকে প্রায়ই রিট্রাইভার পরিবারের কুকুর, জার্মান শেফার্ড ব্যবহার করতে দেখা যায়, যাদের রয়েছে তুলনামূলকভাবে প্রখর ঘ্রাণশক্তি।প্রাথমিক প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু হয় যখন কুকুরের বয়স ছয় থেকে ন’মাসের মধ্যে হয়। চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি মোকাবিলা করা এবং নির্দিষ্ট আদেশে সাড়া দিতে শেখানো হয়।

দ্বিতীয় প্রশিক্ষণ পর্বে, কুকুরদের বন্য প্রজাতির বিরুদ্ধে অপরাধ শনাক্তকরণের উপর জোর দেওয়া হয়।, যেমন অবৈধ পণ্য শনাক্ত করা এবং চোরা শিকারীদের ধরা। প্রশিক্ষণের চূড়ান্ত পর্যায়ে, অপরাধের দৃশ্যগুলি তদন্ত করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দক্ষতা তীক্ষ্ণ হয়।প্রশিক্ষণের শেষ পর্বে, কুকুরগুলিলে মাঠে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বন্য প্রজাতির সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রস্তুত করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর