শর্মিলা চন্দ্র, ৯ মে : পর্যটকদের ঘোরার জন্য সিকিমও কিন্তু পছন্দের একটি জায়গা। বাঙালি পর্যটকরা প্রায় সাড়া বছরই সিকিমে ভিড় জমান। তবে সিকিম গেলে সাধারণত পর্যটকদের তালিকায় গ্যাংটক, উত্তর সিকিমের নাথুলা, ইয়ুমথাং লেক এই সব জায়গাই থাকে। তবে পূর্ব ও পশ্চিম সিকিম পর্যটকদের কাছে এখনো কিন্তু অধরা। এই পশ্চিম সিকিমের একটি অফবিট লোকেশন রানিধুঙ্গা।
কবে থেকে খুলছে কেদারনাথের দরজা?
দার্জিলিং-এর কাছে পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট গ্রাম দাওয়াইপানি
ট্রেক করতে যারা ভালোবাসেন তাদের জন্য সেরা ঠিকানা
পাহাড়বাসীর কাছে এটি একটি তীর্থস্থান বলা যায়। রানিধুঙ্গা শব্দের অর্থ রানি পাথর। ওই স্থানে একটি বড় পাথর রয়েছে। যাকে রানিধুঙ্গা বলা হয়। এই জায়গা নিয়ে বেশ কিছু কথা কথিত রয়েছে। কথিত আছে এখানে নাকি সীতা মায়ের পায়ের ছাপ রয়েছে। শুধু তাই নয় এখানে পাথরে গায়ে একটি বিশাল ত্রিশূলও রয়েছে। শুধু তাই নয়, এখানে আরও একটি কথা প্রচলিত রয়েছে। এখানে নাকি সিকিমের রানি লুকিয়ে থাকতেন। সিকিমে নেপাল এবং ভুটানের রাজা যখন আক্রমণ করতেন তখন এই পাহাড়ের খাঁজে লুকিয়ে আশ্রয় নিতেন।দুর্গম এই এলাকায় শত্রুপক্ষ যেতে পারত না।
এখানে পাথরের নীচে একটি গুহা রয়েছে। সেখানে নাকি লুকিয়ে থাকতেন সিকিমের রানি। নবরাত্রির সময় এখানে ভিড় হয়। স্থানীয়রা এখানে এসে পুজো করেন।
সিকিমের স্থানীয় বাসিন্দারা পায়ে হেঁটে ট্রেক করে এই স্থানে পৌঁছন। যারা ট্রেক করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য সেরা জায়গা। ২ কিলোমিটার পাহাড়ে চড়তে সময় লাগে মিনিট ১৫। এখানে গেলে দারুণ অ্যাডভেঞ্চার হবে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই আর দেরি না করে একবার ঘুরে আসুন এই অফবিট লোকেশনে। মন্দ লাগবে না।