Kunal Ghosh issue

ব্যুরো নিউজ, ৩ মার্চ: গত ১ মার্চ এক সঙ্গে দু’দুটি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ। রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি তৃণমূল মুখপাত্রের পদও ছেড়েছেন তিনি। কিন্তু মুখপাত্র পদে কুণাল ঘোষের ইস্তফা পত্র গ্রহণ করা হলেও। সাধারণ সম্পাদকের পদে ইস্তফা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

শো-কজের ইঙ্গিত!

তবে ইস্তফার পাশাপাশি দলের বেশকিছু নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টও করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন যে, তিনি সরকারি নিরাপত্তাও ছেড়ে দিয়েছেন ৷

বালুরঘাটে আনন্দ-উল্লাস | প্রার্থী ঘোষণার পর কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

তৃণমূলের মুখপাত্র, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্বেও ছিল কুণাল। আর সেই দায়িত্ব তিনি আর নিতে চান না বলে জানা গিয়েছিল। সূত্র মারফৎ এও জানা যায় তৃণমূলের মুখপাত্রদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেও বেরিয়ে গিয়েছেন তিনি।

প্রথমে তার এক্স হ্যান্ডেলে কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। সেখানে কুণাল ঘোষের রাজনৈতিক পদ আর নেই। তার বদলে দেখা যায় সাংবাদিক ও সমাজকর্মী লেখা। এরপরই তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষোভ উগড়ে দেন। বিস্ফোরক সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘নেতা অযোগ্য, গ্রুপবাজ, স্বার্থপর। সারাবছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি, অভিষেক, দলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না।’ এই নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়।

 'show cause' Kunal Ghose

এদিকে যত দিন গড়াচ্ছে ততই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কুণাল ঘোষের সংঘাত বেড়েই চলেছে। মূলত প্রকাশ্যেই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দেগে চলেছেন কুণাল ঘোষ। ভুবনেশ্বরে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ভর্তি থাকার সময় বিল সংক্রান্ত প্রসঙ্গ তুলে ইডি – সিবিআই তদন্তের দাবিও তুলেছিলেন কুণাল ঘোষ। আর তাতেই বেজায় ‘চটেছে’ উপর মহল। দলেরই নেতা হয়ে অন্য এক নেতার বিরোধিতা করা ভালো চোখে দেখছে না দল। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এও ধারনা করা হচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনের আগেই দলের অন্দরে এই দ্বন্দ্বের কারনে সমস্যায় পড়তে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে দল। দলীয় সূত্রে এও জানা যাচ্ছে, শোকজ করা হতে পারে কুণাল ঘোষকে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর