ব্যুরো নিউজ ৫ জুন : আসন্ন ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভাঙড়কে ‘বিরোধীশূন্য’ করার লক্ষ্য নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক এবং ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা ফের একবার ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (ISF) এবং তাদের নেতা নওশাদ সিদ্দিকীকে কড়া ভাষায় নিশানা করেছেন। বুধবার রাতে ভাঙড় কলেজের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক কর্মীসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আইএসএফের বিরুদ্ধে তীব্র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
‘সমাজবিরোধীরা জেলে থাকবে’: শওকতের কঠোর বার্তা
শওকত মোল্লা তাঁর বক্তব্যে সরাসরি নওশাদ সিদ্দিকীর দলকে আক্রমণ করে বলেন, “২০২৬-এ তৃণমূল জেতার পর গোটা বাংলা থেকে আইএসএফ দলটাই উঠে যাবে।” তিনি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে বলেন, “ভাঙড়ের যে কটা সমাজবিরোধী আইএসএফ আছে, তারা আগামী দিন জেলে থাকবে। কবে ডাল ভাত মাংস খেয়েছেন ভুলে যান। এদের স্থান বাইরে নয়, ভাঙড়ের মাঠ-ঘাট এদের ঘোরার জায়গা নয়। এদের স্থান বারুইপুরের জেল কিংবা আলিপুরের জেল। জেলে থাকার ব্যবস্থা আগামী দিনে ওদের হবে।” এই ধরনের মন্তব্য আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভাঙড়ের রাজনৈতিক উত্তাপকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি ভারত: ছাড়াল জাপানকে
ভাঙড়কে ‘বিরোধীশূন্য’ করার লক্ষ্য
দীর্ঘদিন ধরেই শওকত মোল্লা নওশাদ সিদ্দিকী এবং আইএসএফের বিরুদ্ধে সরব। সামনে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য করে তিনি ভাঙড় বিধানসভাকে বিরোধীশূন্য করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এর অংশ হিসেবে তিনি বেশ কিছুদিন ধরে নানারকম দলীয় কর্মসূচী পালন করছেন। বুধবারের এই কর্মীসভা তৃণমূল কংগ্রেসের সেই ধারাবাহিক কর্মসূচিরই অংশ ছিল। কর্মীসভায় ভাঙড় বিধানসভার দলীয় কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
বিহারের জনসভায় বিরোধীদের মোদীর তোপ: কংগ্রেস-আরজেডি ‘দুর্নীতি ও জঙ্গলরাজ’ চালিয়েছে
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ প্রভাব
শওকত মোল্লার এই কড়া হুঁশিয়ারি শুধু নওশাদ সিদ্দিকী বা আইএসএফের জন্য নয়, বরং ভাঙড়ের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাঙড়ে আইএসএফের উত্থান তৃণমূলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তৃণমূল নেতৃত্ব এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে এবং বিরোধীদের দুর্বল করতে চাইছে। শওকত মোল্লার এই হুমকি তৃণমূলের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিরই প্রতিফলন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। তবে, এই ধরনের মন্তব্য ভাঙড়ের রাজনৈতিক সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে।