ব্যুরো নিউজ,৮ মে : পূর্বঘোষিত কোনও সূচি ছাড়াই হঠাৎ করে নয়াদিল্লিতে পৌঁছলেন সৌদি আরবের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী আদেল আল-জ়ুবের। এই আকস্মিক সফরে তিনি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন। কূটনৈতিক মহল মনে করছে, এই সফর নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়, বরং সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যেই এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
গত ১৫ দিন আগে পহেলগাঁওয় ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই উপমহাদেশের পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত। তার পরেই ভারতীয় সেনা পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পঞ্জাব প্রদেশে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। এই অভিযানের জেরে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে ফের সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতেই সৌদি বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর তড়িঘড়ি দিল্লি সফর, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছে।
ভারত-সৌদি যৌথ বার্তা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে
সৌদি আরবের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আদেল আল-জ়ুবের ও জয়শঙ্করের বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার বিষয়ে শক্ত অবস্থান নেওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘‘ভারতের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অনমনীয় লড়াই চালিয়ে যেতে আমরা একমত হয়েছি।’’
দিঘার জগন্নাথধাম বিতর্কে মমতার গর্জন: ‘‘হিংসের ওষুধ হয় না!’’
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে একই সময়, অর্থাৎ বুধবার গভীর রাতে নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। পশ্চিম এশিয়ায় সৌদি আরবের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত ইরান। ফলে সৌদি ও ইরানি প্রতিনিধিদের একই সময়ে ভারতের সঙ্গে বৈঠক এই অঞ্চলের কূটনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উপমহাদেশে যাতে সামরিক সংঘাত আরও না বাড়ে, সেই চেষ্টাতেই সৌদি আরবের এই তৎপরতা। সৌদি আরব, যাকে আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ মিত্র বলে মনে করা হয়, এই মুহূর্তে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় মধ্যস্থতা করতে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন।