ব্যুরো নিউজ, ৯ এপ্রিল : ফের দুর্নীতির অভিযোগের তালিকায় সন্দেশখালি। চলতি বছরের গোড়া থেকেই জমি দখল, অত্যাচার-সহ নানা অভিযোগে তেতে ছিল সন্দেশখালি। এবার অভিযোগ উঠছে, এখানের বেশিরভাগ স্কুলে যে মিড-ডে মিলের রান্নার বাসনপত্র কেনা হয়েছে, তাতেও জড়িয়ে রয়েছে দুর্নীতি। বিরোধীরা আঙুল তুলছেন ব্লক অফিসের দিকে।
দুষ্কৃতীদের হামলায় আহত সন্দেশখালির পুলিশ কনস্টেবল সন্দীপ মণ্ডল! কেমন আছেন এখন?
বিরোধীরা আঙুল তুলছেন ব্লক অফিসের দিকে
এই প্রসঙ্গে ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানকার ১৮টি প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক ও শিশু শিক্ষাকেন্দ্র মিলিয়ে মোট ২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কয়েকদিন আগে ওই সব সরঞ্জাম কেনার জন্য ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ১০-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত স্কুলপ্রতি দেওয়া হয় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যার নিরিখে। সব ঠিকই ছিল এই পর্যন্ত।
কিন্তু সম্প্রতি স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের একাংশ দাবি করেন, একটি নির্দিষ্ট সংস্থার থেকে বেশি দামে সরঞ্জাম নিতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন ব্লকের মিড-ডে মিলের হিসাবরক্ষক শম্ভু শরণের নির্দেশে। বিজেপি মনে করছে, এতে স্কুলগুলি দুর্নীতির শিকার হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বেড়মজুরের স্কুলটির প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, ‘‘স্কুল এই খাতে টাকা পেলে কখনও নির্দিষ্ট কারও কাছ থেকে সরঞ্জাম কিনতে বাধ্য থাকার কথা নয়। আমরা যেখানে ন্যায্য দামে পাব, সেখান থেকে কিনব। ব্লকে তার নথি জমা দেওয়া হবে। কোনও নির্দিষ্ট সংস্থার থেকে বেশি দামে কেন কিনব?’’
একই প্রসঙ্গে গাজিখালি এফপি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্তোষকুমার করণ বলেন, ‘‘স্কুল কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে নিই। তার পরে ভাবব, কী ভাবে কিনব। বিশেষ কোনও সংস্থা থেকে কিনতে তো বাধ্য নই আমরা।’’ অপরদিকে অভিযুক্ত শম্ভু দাবি জানিয়ে বলেছেন, ‘‘নজরদারির সুবিধার জন্য অনুরোধ করেছিলাম ওখান থেকে নিতে। যাঁরা চেয়েছেন নিয়েছেন। এর বাইরে কিছু বলার নেই।’’