ব্যুরো নিউজ, ২৬ এপ্রিল: সন্দেশখালি ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর’! সন্দেশখালি নিয়ে বিস্ফোরক শঙ্কুদেব, কি বললেন তিনি?
পুনর্নির্বাচনের দাবি বিজেপির রাজু বিস্তার
আজ রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয়দফা ভোট। আজ উত্তরবঙ্গের তিন আসনে ভোট। দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাট – এই তিন আসনে ভোট। একইসঙ্গে দেশের ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে মোট ৮৮টি আসনে ভোট। কিন্তু এর মধ্যেই ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি।
আজ ভোট আবহেই সন্দেশখালিতে অভিযান চালায় সিবিআই। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সরবেড়িয়ার আগারহাটির মল্লিকপাড়ায় অভিযান চালায় সিবিআই। মল্লিকপাড়ার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য হাফিজুল খাঁর ভগ্নিপতি আবু তালের মোল্লার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। তাজা বোমার পাশাপাশি বিদেশি নাইন এমএম পিস্তল, দেশি ৭ এমএম বোমা, কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গোটা এলাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘিরে রাখে। ভোটের বাজারে অস্ত্র মজুত নাকি ওই স্থানে আগে থেকেই অস্ত্র মজুত করা ছিল সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে সূত্রের খবর, সন্দেশখালিতে অস্ত্রর পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকও মিলেছে। আর সেই বিস্ফোরক নিরাপদে সংগ্রহ করে সেই বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার কাজ করছে ন্যাশানাল সিকিউরিটি গার্ডের (এনএসজি) বম্ব ডিসপোসল এবং ডিটেকশন স্কোয়াড। এর পাশাপাশি নামানো হয়েছে রোবোটও। এই ঘটনায় কার্যত সরগরম সন্দেশখালি।
আর এবার এই বিষয়ে সরব হন বিজেপি-র শঙ্কুদেব পণ্ডা। তিনি বলেন, তৃণমূল সরকার বাংলাকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের থেকেও খারাপ জায়গায় নিয়ে গেছে। সন্দেশখালিকে যে জায়গায় নিয়ে গেছে তা শিউরে ওঠার মত। এই অবস্থায় তিনি রাজ্যের ডিজিপি ও পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, এখনও কেন রাজ্যের ডিজিপি ইস্তফা দেবেন না? কেন পুলিশমন্ত্রী ইস্তফা দেবেন না?
সন্দেশখালিতে আরও বড় কিছু রয়েছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি দাবি করেন যে, তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে গুপ্ত অস্ত্র ভান্ডার উদ্ধার হচ্ছে। এখানে আরও বড় কোনও কিছু রয়েছে। আর সেই কারণেই এনএসজিকে নামাতে হয়েছে। তিনি এও বলেন যে, রাজ্যে আরও একাধিক জায়গায় এই পরিস্থিতি। আজ বাংলার অবস্থা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের থেকেও খারাপ।
এদিকে বিজেপি-র শঙ্কুদেব পণ্ডার বক্তব্য কার্যত ‘ফুঁ’ দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে কুণাল ঘোষ। তার দাবি, সন্দেশখালিতে এনএসজি নামানো হয়েছে মূলত নাটকের জন্য। ভোটকে প্রভাবিত করতে সন্দেশখালি ইস্যুকে অস্ত্র করা হচ্ছে বলেন কুণাল ঘোষ।