ব্যুরো নিউজ,১৯ ফেব্রুয়ারি: চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানের সন্দেশখালির বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে মার খেতে হয়েছিলো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের। ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছিলো তাঁদের মাথা। শুধু মার নয়। তাঁদের মোবাইল, ল্যাপটপ সমস্ত কিছু কেড়ে নেওয়া হয়েছিলো। ভেঙে ফেলা হয়েছিলো তাঁদের দামি গাড়িও। কোনোরকমে তাঁদের হাত থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে কলকাতায় ফিরে এসেছিলেন ইডির আধিকারিকেরা।
শীর্ষ আদালতে সন্দেশখালি মামলা
সেই সময় থেকেই নিখোঁজ সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। এরপর থেকেই প্রতিটি সংবাদপত্রের শিরোনামে উঠে এসেছে সন্দেশখালির নাম। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেও শেখ শাহজাহান ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা সরব হয়ে বেছে নেয় প্রতিবাদের পথ। সেখানকার মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা এখন গোটা দেশের কাছে আলোচনার বিষয়ে পরিবর্তিত হয়েছে। এমনকি বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশনেও একাধিক শীর্ষ নেতার মুখে শোনা গিয়েছে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ।
এ রকম পরিস্থিতিতেই এবার দেশের শীর্ষ আদালতে উঠবে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। গত শুক্রবার সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে প্রধান বিচারপতির এজলাসে জনস্বার্থ মামলার জরুরি শুনানির আবেদন জানানো হয়। প্রধান বিচারপতি পিটিশন পড়ে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছিলেন। এরপর সেই মামলা নথিভুক্ত হয়। আজ সেই মামলার শুনানির দিন। বিচারপতি বিভি নাগারত্না ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ- এর এজলাসে ওই মামলার শুনানি হবে। মণিপুরের ধাঁচে সন্দেশখালিতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানানো হয়েছিলো। এছাড়াও কেন্দ্রীয় এজেন্সির মাধ্যমে ও শীর্ষ আদালতের তত্ত্বাবধানে তদন্তের আবেদনও জানানো হয়েছে। আজ সমস্ত কিছু শুনে সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কী রায় দেয়, সে দিকেই এখন নজর গোটা দেশের। ইভিএম নিউজ