ব্যুরো নিউজ,১৭ এপ্রিল: গরমে যখন শহরের তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ৪০ ডিগ্রি, তখন অনেকেই শান্তি খুঁজে নেন পাহাড়ে। এই সময়টাতেই উত্তরবঙ্গের সান্দাকফু হয়ে উঠতে পারে আপনার আদর্শ ট্রাভেল ডেস্টিনেশন। সান্দাকফু (Sandakphu) পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ, উচ্চতা প্রায় ১২,০০০ ফুট। এখান থেকে দেখা যায় বিশ্বের চারটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গ—এভারেস্ট, কাঞ্চনজঙ্ঘা, লোৎসে ও মাকালু। তবে এখানে পৌঁছাতে গেলে আপনাকে ট্রেক করে যেতে হবে। রোমাঞ্চপ্রেমীদের জন্য এ এক স্বর্গের সমান।
শান্তির মুখোশে লুকানো উত্তেজনার আগুন: কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
কীভাবে যাবেন? কেন যাবেন এখন? কি সাবধানতা নিতে হবে?
প্রথমে ট্রেনে বা বিমানে পৌঁছে যান নিউ জলপাইগুড়ি বা বাগডোগরা। সেখান থেকে গাড়িতে যেতে হবে মানেভঞ্জন পর্যন্ত। মানেভঞ্জন থেকেই ট্রেকিং শুরু। রাস্তা পাথুরে হলেও দৃশ্য অসাধারণ। মাঝে মাঝে পড়বে টংলু, কালিপোখরি, আর শেষ গন্তব্য সান্দাকফু।
শিক্ষা দুর্নীতি না রাজনৈতিক চিত্রনাট্য? রবিবারের পথে জবাব খুঁজছে রাজনীতি
ট্রেকিং রুটে হোমস্টে ও সরকারি পর্যটন বিভাগের লজ পাওয়া যায়। প্রতিরাত ৫০০-১৫০০ টাকার মধ্যেই থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যায়। এপ্রিল থেকে জুন—এই সময় আকাশ পরিষ্কার থাকে, বাতাস ঠান্ডা, আর পাহাড়ে ফুল ফুটে থাকে রঙিন। রডোডেনড্রন, ম্যাগনোলিয়া, অর্কিডে ভরে যায় পাহাড়ের গা। ছবি তোলার দারুণ সুযোগ।
শুরু ধোঁয়া থেকে, শেষ কোথায়? রেলের আগুন এখন নিয়মিত আতঙ্ক!
উচ্চতায় অক্সিজেন কম থাকে। তাই শারীরিকভাবে সুস্থ না হলে বেশি ট্রেক না করাই ভালো। সঙ্গে গরম জামা, ওষুধ এবং শুকনো খাবার নিয়ে যাওয়া জরুরি। কম খরচে, কম সময়ে, শহরের কোলাহল থেকে দূরে গিয়ে যদি প্রকৃতি আর পাহাড়ের কোলে কিছুটা সময় কাটাতে চান, তাহলে এবার আপনার গন্তব্য হোক সান্দাকফু। শুধু ঘোরার আনন্দই নয়, নিজের সঙ্গে একান্ত সময় কাটানোর জন্যও সান্দাকফু এক দুর্দান্ত ঠিকানা। আপনি চাইলে এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাপশন বা রিল আইডিয়াও দিতে পারি!