ব্যুরো নিউজ, ২৮ ফেব্রুয়ারি :তিন ম্যাচ আগে পর্যন্ত আইপিএল মহিলাদের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সেদিন মনে হচ্ছিল, পরপর দু’বার তারা আইপিএল জিতবে এবং স্মৃতি মান্ধানারা আরও একবার চ্যাম্পিয়ন হবে। কিন্তু পরবর্তী কয়েকটি ম্যাচে তাদের দুর্দশা শুরু হয়ে গেল। ঘরের মাঠে খেলতে নেমে বেঙ্গালুরু কোনভাবেই জিততে পারল না। বুধবার গুজরাত জায়ান্টসের কাছে তারা ৬ উইকেটে হেরে গিয়েছে। এই হারের ফলে বেঙ্গালুরুর টানা তিনটি ম্যাচে হার হল।
বাম শ্রমিক সংগঠনের মিছিলে পরিষেবা ব্যাহত, অ্যাপ-ক্যাব ও বাইক-ট্যাক্সি চালকদের আন্দোলন
বাম শ্রমিক সংগঠনের মিছিলে
পূর্ববর্তী ম্যাচে ইউপি ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে জেতার একেবারে কাছাকাছি গিয়ে হেরে গিয়েছিল বেঙ্গালুরু। তবে গুজরাতের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই তারা পিছিয়ে ছিল। টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গুজরাতের অধিনায়ক অ্যাশলি গার্ডনার, এবং তার বাম শ্রমিক সংগঠনের মিছিলে । গুজরাতের বোলাররা বেঙ্গালুরুকে দ্রুত ৫ উইকেট হারাতে বাধ্য করেন।বেঙ্গালুরুর টপ অর্ডার ব্যাটিং এই ম্যাচে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে যায়। স্মৃতি মান্ধানা মাত্র ১০ রান করেন, ড্যানিয়েল ওয়াট-হজ করেন ৪ রান, এবং এলিস পেরি, যিনি আগের ম্যাচে ৯০ রান করেছিলেন, তিনি এই ম্যাচে ০ রানেই আউট হয়ে যান। এরপর রাঘবি বিস্তের সঙ্গে কণিকা আহুজা কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে চেষ্টা করেন।
এই দু’জনে মিলে ৪৮ রান যোগ করেন, তবে দ্রুত রান তোলার গতি ছিল না। রাঘবি করেন ২২ রান এবং কণিকা করেন ৩৩ রান। তাদের আউট হওয়ার পর বেঙ্গালুরুর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। বাংলার রিচা ঘোষও রান পাননি।শেষ পর্যন্ত জর্জিয়া ওয়ারহামের ২০ রানের সাহায্যে বেঙ্গালুরু ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান করতে সক্ষম হয়। ১২৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে গুজরাত মাত্র ১৬.৩ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ব্যাট হাতে বেথ মুনি, হরলিন দেওলরা বড় রান না পেলেও তাদের জয় নিশ্চিত হয়। অধিনায়ক গার্ডনার ৩১ বলে ৫৮ রান করেন, এবং তাকে সহায়তা করেন ফোবে লিচফিল্ড, যিনি ৩০ রান করেন।
ট্যাংরা-কাণ্ডের নাবালকের ইচ্ছা কাকিমার বাবা-মায়ের কাছে থাকার
এই ৬ উইকেটে জয়ে গুজরাত জায়ান্টস আইপিএল মহিলাদের পয়েন্ট তালিকায় প্রতিযোগিতাকে আরও জমিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে। তাদের পয়েন্ট ৬, এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস, যাদের পয়েন্টও ৬। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে বেঙ্গালুরু, ইউপি ও গুজরাত, তবে এই তিনটি দলের পয়েন্ট ৪, এবং সবাই পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে। অর্থাৎ, এই পরিস্থিতি থেকে যে কোন দল পয়েন্ট তালিকায় উপরে উঠতে পারে। প্রথম তিনটি দল প্লে-অফে যাবে। এখন দেখার বিষয় হলো, পরবর্তী ম্যাচগুলোতে কোন তিনটি দল প্লে-অফে প্রবেশ করবে।