ব্যুরো নিউজ, ২০ মার্চ: নদীয়ায় ভোটারদের ভয় ভীতি দূর করতে উদ্যোগ। জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ। উপস্থিত জেলা শাসক সহ অনেকে।
এবার আদৌ কি হবে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী বসন্তোৎসব?
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যের একাধিক স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে এবার পাখির চোখ নির্বাচন কমিশনের। সেই মতো স্পর্শকাতর বুথগুলি থেকে শুরু করে জেলায় জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ। যদিও এই রুট মার্চে রাজ্য পুলিশের ভূমিকাও রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে নদীয়ার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত শান্তিপুর শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রানাঘাট পুলিশ জেলার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে রুটমার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সঙ্গে পা মেলান নদীয়া জেলার জেলাশাসক এস অরুনপ্রসাদ, রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কুমারসানী রাজ, মহকুমা শাসক রৌনক আগরওয়াল, শান্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুব্রত মালাকার, শান্তিপুর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সন্দীপ ঘোষ।
যদিও রুটমার্চের মধ্যে দিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন আধিকারিকরা, পাশাপাশি কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন মানুষের কাছ থেকে। তবে জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে পেয়ে যথেষ্টই খুশি স্থানীয় মানুষজন। রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কুমারসানী রাজ বলেন, ইতিমধ্যে সমস্ত জায়গায় রুটমার্চ শুরু হয়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করব এই রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে যাতে কোনরকম অপ্রীতিক ঘটনা না ঘটে। আর যদি তার সম্মুখীন হতে হয় তাহলে আগে থাকতেই আমরা তৈরি আছি। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে যে কোনও ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।
অন্যদিকে জেলাশাসক এস অরুনপ্রসাদ বলেন, এখন থেকে দফায় দফায় চলবে কেন্দ্র বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের রুট মার্চ। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানুষের মনের ভয় ভীতি দূর করতেই পুলিশ প্রশাসনের এই প্রয়াস।