স্ট্রোকের ঝুঁকি

ব্যুরো নিউজ ৯ নভেম্বর : স্ট্রোক এমন একটি গুরুতর সমস্যা, যা সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেলে প্রাণঘাতী হতে পারে। ব্রেন স্ট্রোকের পর চিকিৎসা শুরু করতে খুব অল্প সময় মেলে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রায় ১০-১৫ শতাংশ স্ট্রোকের ঘটনা ঘটছে, যা দিন দিন বাড়ছে। স্ট্রোক মূলত দু’প্রকার—ব্লকেজ বা অক্লুসিভ স্ট্রোক, যেখানে মস্তিষ্কের রক্তনালি বন্ধ হয়ে যায়, এবং হেমারেজিক স্ট্রোক, যেখানে রক্তনালি ফেটে রক্তক্ষরণ হয়। এই দু’ধরনের স্ট্রোকই এখন অল্পবয়সিদের মধ্যে ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা, জীবন ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করলেন লঞ্চকর্মী

স্ট্রোক হওয়ার কারণ

স্ট্রোকের কারণগুলির মধ্যে রয়েছে ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, ওজন বৃদ্ধি, এক্সারসাইজ না করা, এবং খাদ্যাভ্যাসের গরমিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান জীবনযাত্রার পরিবর্তন, মানসিক চাপ এবং বাইরের খাবারের অতিরিক্ত অভ্যাসও অল্পবয়সিদের মধ্যে স্ট্রোকের কারণ হয়ে উঠছে।

স্ট্রোকের লক্ষণ দ্রুত শনাক্ত করতে FAST টেস্ট গুরুত্বপূর্ণ।

এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।

বর্তমানে উন্নত হাসপাতালগুলোতে স্ট্রোকের তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য বিশেষ সুবিধা রয়েছে। স্ট্রোকের পর তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া খুবই জরুরি। বিশেষ সুবিধা সম্পন্ন অ্যাম্বুল্যান্সগুলিতে স্ট্রোকের রোগীদের জন্য জরুরি চিকিৎসার সব ব্যবস্থা থাকে, এবং ভবিষ্যতে এগুলিতে সিটি স্ক্যানও করার ব্যবস্থা থাকবেড়োহাসপাতালগুলোতে স্ট্রোক রোগীদের জন্য নিউরোলজিস্ট, নিউরোসার্জন, ইন্টারভেনশনিস্ট এবং ফিজিওথেরাপিস্টের সমন্বয়ে বিশেষ স্ট্রোক টিম গঠন করা হয়েছে। সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে স্ট্রোকের ধরন নির্ধারণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ বা অপারেশন করা হয়। এছাড়া রোগী সুস্থ হয়ে উঠলে ফিজিওথেরাপি এবং নিউরো রিহ্যাবিলিটেশনের মাধ্যমে স্বাভাবিক চলাফেরা এবং কথা বলার ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর