ব্যুরো নিউজ,১৩ ডিসেম্বর:আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নতুন করে ওঠা অভিযোগে তোলপাড় চলছে। সিবিআইয়ের দাবি হাসপাতাল চত্বরে বাইক পার্কিং থেকে তোলা আদায়ের মাধ্যমে সন্দীপ এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আফসার আলি বিপুল অর্থ সংগ্রহ করতেন। বৃহস্পতিবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে এই দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এনআরসি তে নাম না থাকলে বাতিল হবে আধার কার্ড
সিবিআইয়ের অভিযোগ
তদন্তে জানা গিয়েছে, বাইক পার্কিং থেকে নিয়মিত তোলা আদায় করা হত। সেই অর্থ সরাসরি সন্দীপ এবং আফসারের পকেটে ঢুকত। সন্দীপের নির্দেশে আফসারকে বেআইনিভাবে একাধিক কাজের বরাত দেওয়া হয়। এমনকি আফসারের নিয়োগ প্রক্রিয়াও প্রশ্নের মুখে। সিবিআইয়ের দাবি, সরকারি নিয়ম ভেঙে এবং স্বাস্থ্য ভবনকে পাশ কাটিয়ে আফসারের বেনামি সংস্থাকে কাজের বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়।আফসারের আইনজীবী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আদালতে জামিনের আবেদন করেন। তার দাবি তোলা আদায়ের টাকা কোথায় গেল তা সিবিআই এখনও প্রমাণ করতে পারেনি। এছাড়া জালিয়াতির অভিযোগেও উপযুক্ত প্রমাণ পেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আইনজীবী আরও জানান আফসার শুধুমাত্র অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক সহকারী নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন এবং সন্দীপ ঘোষের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ছিলেন না।
সর্বকনিষ্ঠ দাবা বিশ্বচ্যাম্পিয়নঃ ১৮ বছর বয়সেই ইতিহাস গড়লেন ডি গুকেশ
সিবিআই জানিয়েছে তদন্তে একাধিক সাক্ষীর জবানবন্দি এবং আর্থিক দুর্নীতির প্রমাণ চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সন্দীপ ঘোষ এবং আফসারের কার্যকলাপ কীভাবে আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক স্বচ্ছতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তা স্পষ্ট করা হয়েছে।সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুধু তোলাবাজির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আফসারের মাধ্যমে বেআইনি আর্থিক কার্যকলাপ এবং অবৈধ কাজের বরাত প্রদান তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য অনুযায়ী, আফসার একজন অস্থায়ী কর্মী ছিলেন।তাকে সরকারি কর্মী বলা যায় না।আদালতে মামলার শুনানি এখনও চলছে। সিবিআই এবং আফসারের আইনজীবীর পাল্টাপাল্টি যুক্তি পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। সন্দীপ ঘোষ এবং আফসারের অপরাধ প্রমাণিত হলে এটি আরজি কর হাসপাতালের ইতিহাসে বড় দুর্নীতি কাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত হবে।