ব্যুরো নিউজ, ২৫ মে : মধ্যরাতে শিলিগুড়ির সেবক রোডের রামকৃষ্ণ মিশনে দু্ষ্কৃতীদের হামলা ও সন্ন্যাসীদের অপহরণের ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা বাংলা। ঘটনার পর ৫ জন গ্রেফতার হলেও অধরা মূল অভিযুক্ত। এবার এই ঘটনায় কলকাতায় থেকে আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছে কেজিএফ গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য আমন ঘোষ ওরফে মনোজ। তবে এখনও ফেরার মূল অভিযুক্ত।
মাণ্ডিতে বলিউড ক্যুইনের হয়ে প্রচারে মোদী
মোট ছয়জন গ্রেফতার হলেও এখনও অধরা মূলচক্রী
কলকাতার একাধিক জায়গয়া তল্লাশি চালিয়ে কেজিএফ গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য আমন ঘোষ ওরফে মনোজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রামকৃষ্ণ মিশনের হামলা-সহ একাধিক অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে মনোজ যুক্ত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, গত ১৯ মে ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ শিলিগুড়ির সেবক রোডের উপর অবস্থিত ‘সেবক হাউসে’ প্রায় ৩০ জন দুষ্কৃতী ঢুকে রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় বেশকিছু আশ্রমিক ও নিরাপত্তারক্ষীদের বাইরে বার করে দেয়। প্রত্যেকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে শহরের বাইরে আশ্রমিকদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখল করতে প্রদীপ রায় নামের এক দুষ্কৃতী কেজিএফ গ্রুপকে কাজে লাগায় বলে অভিযোগ।
ঘটনার পর ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ। তার পর থেকে হামলাকারীদের ধরতে কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক কমিশনারেটের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি)। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জন গ্রেফতার হলেও অধরা মূলচক্রী। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ‘সেবক হাউসে’ হামলার পিছনে তৃণমূল আশ্রিত জমি মাফিয়াদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। অন্যদিকে এই ঘটনার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ঝাড়খণ্ডের প্রচার সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানাও করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখন দেখার এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত কতদিনে পুলিশের জালে ধরা পড়ে।


















