ব্যুরো নিউজ ১২ নভেম্বর :বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব রাসযাত্রা যা মূলত শ্রীকৃষ্ণের প্রেম ও ভক্তির উৎসব। এই উৎসবের মূল ভাবনা রাধাকৃষ্ণ ও গোপিনীদের ভক্তি ও প্রেমময় আরাধনা। পুরাণে রাসযাত্রার বিভিন্ন রূপের উল্লেখ পাওয়া যায়। কখনও শারদ রাস, আবার কখনও বসন্ত রাস। কাহিনী অনুসারে শ্রীকৃষ্ণের প্রেমে মুগ্ধ গোপিনীরা সংসার পরিত্যাগ করে বৃন্দাবনে একত্রিত হন। শ্রীকৃষ্ণ তাদের ফিরে যেতে অনুরোধ করলেও তারা অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে শ্রীকৃষ্ণ রাধাকে নিয়ে চলে গেলে গোপিনীদের অহঙ্কার ভেঙে যায় তারা তার স্তব শুরু করেন। এতে সন্তুষ্ট হয়ে শ্রীকৃষ্ণ ফিরে আসেন ও তাদের জীবনের পরমার্থ বুঝিয়ে জাগতিক ক্লেশ থেকে মুক্তি দেন।
শনির গতি পরিবর্তন কার্তিক পূর্ণিমায়, কোন ৩ রাশির জন্য সতর্কবার্তা দিচ্ছেন শনিদেব!
মূল ভাবনাটি রাধাকৃষ্ণের ভক্তিময় আরাধনা
বাংলায় এই রাসযাত্রার প্রচলন শ্রীচৈতন্যদেব ও রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সময় থেকে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়। বর্তমানেও বৃন্দাবন, মথুরা, ওড়িশা, অসম, মণিপুর এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে বিশাল আড়ম্বরের সঙ্গে রাসযাত্রা উদযাপিত হয়। বিভিন্ন অঞ্চলে এই উৎসব পালন করার নিয়মে কিছু পার্থক্য থাকলেও মূল ভাবনাটি রাধাকৃষ্ণের ভক্তিময় আরাধনাতেই নিবিষ্ট থাকে।
চাঁদ-বৃহস্পতির মিলনে এই ৪টি রাশির জীবনে ঘুরতে চলেছে সৌভাগ্যের চাকা!
আগামী ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, শুক্রবারে রাসযাত্রা পালিত হবে। এই দিনে পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে সকাল ৬টা ২১ মিনিটে এবং শেষ হবে রাত ২টা ৫৯ মিনিটে। গুপ্তপ্রেশ পঞ্জিকা অনুসারে পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে ১৪ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ১৩ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে এবং শেষ হবে ১৫ নভেম্বর রাত ৩টা ২ মিনিটে। এই সময়ে রাসযাত্রার ব্রতোপবাস পালন করা হয়।