ব্যুরো নিউজ, ২২ এপ্রিল: এই গরমে বা সারা বছর ধরেই শিশুদের পুষ্টির দিকে যত্ন নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। অনেক বাবা-মা মনে করেন, শুধু মাছ-মাংস খেলেই শিশু যথেষ্ট প্রোটিন পাবে। কিন্তু এ ধারণা ঠিক নয়। শুধু আমিষ খাওয়ালেই প্রোটিনের চাহিদা মেটে না। বরং অতিরিক্ত মাংস খাওয়ালে শরীরে ফ্যাট বাড়ার সম্ভাবনাও থাকে। ফলে শিশুদের জন্য দরকার সুষম ও পরিকল্পিত খাদ্য। প্রোটিন হল শরীর গঠনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। শিশুর হাড়, পেশি, ত্বক ও মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য প্রোটিন অপরিহার্য। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও প্রোটিনের প্রয়োজন রয়েছে। তাই শুধু আমিষ নয়, নিরামিষ খাবার থেকেও প্রোটিন যেন শরীরে পৌঁছায়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
Tollywood Gosip: বিয়ের পরেও নিস্তার নেই প্রাক্তনের হাত থেকে তাই সোহিনী এবার রনং দেহি
বয়স অনুযায়ী শিশুর প্রোটিনের চাহিদা
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)-এর তথ্য অনুযায়ী, শিশুর বয়স ও ওজন অনুযায়ী প্রতিদিন ঠিক কতটা প্রোটিন দরকার, তা জেনে রাখা দরকার।
১ বছর বয়স পর্যন্ত: দিনে ৮-১০ গ্রাম
১-৩ বছর: দিনে ১১.৩ গ্রাম
৪-৬ বছর: প্রায় ১৬ গ্রাম
৭-৯ বছর: দিনে ২৩ গ্রাম
৯-১৩ বছর: কমপক্ষে ৩৪ গ্রাম
১৪-১৮ বছর: ছেলেদের জন্য ৫২ গ্রাম, মেয়েদের জন্য ৪৬ গ্রাম
দুঃখজনকভাবে, দেশের পাঁচ বছরের কম বয়সি অন্তত ৩৫ শতাংশ শিশু পর্যাপ্ত প্রোটিন পাচ্ছে না। মূলত, অনেক বাবা-মাই জানেন না কোন কোন খাবার থেকে প্রোটিন পাওয়া যায়।
কোন খাবার থেকে শিশুকে প্রোটিন দেবেন?
নিরামিষ শিশুর জন্য দুধ, ছানা, ডাল (বিশেষ করে মুগ, মুসুর), সয়াবিন, ছাতু এবং দই দেওয়া যেতে পারে।
আমিষ খেলে দিনে একটি ডিম, পাতলা মাছের ঝোল বা হালকা মুরগির স্ট্যু খুবই উপকারী।
ব্রেকফাস্টে দুধ-কর্নফ্লেক্স, ব্রাউন ব্রেডে পিনাট বাটার, দই বা চিজ দেওয়া যেতে পারে।
লাউ, কাঁচা পেঁপে, গাজর, ঝিঙে, পালং শাক, ব্রকোলির মতো সব্জি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দিতে হবে।
জিওল মাছ যেমন শিঙি, মাগুর শিশুর জন্য খুবই উপকারী। এতে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।
একদিনে মাছ, মাংস ও ডিম—তিনটেই একসঙ্গে না দেওয়াই ভাল। খাদ্যে ভারসাম্য রাখতে হবে।
মমতার ফুরফুরা সফর এক ঢিলে দুই পাখি মারার কৌশল! ভোটের আগে কি করতে চলেছেন?
পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে বাজারচলতি প্রোটিন পাউডার নয়, বরং স্বাভাবিক খাবারেই মনোযোগ দেওয়া উচিত। ডালিয়ার খিচুড়ি, সুজির পায়েস বা ছানাও হতে পারে প্রোটিনের ভরসাযোগ্য উৎস। শিশুর খাবারে শুধু পেট ভরলেই চলবে না, পুষ্টি নিশ্চিত করাও জরুরি। প্রোটিনের পরিমাণ কম বা বেশি—দু’টোই ক্ষতিকর হতে পারে। তাই সময় থাকতে সচেতন হোন, আর শিশুকে দিন স্বাস্থ্যকর, ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্য।