pankaj-tripathi-struggles-supportive-wife

ব্যুরো নিউজ,১৩ সেপ্টেম্বর:বর্তমানে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠী। কিন্তু তার কেরিয়ারের সূচনাটা একেবারেই মসৃণ ছিল না। শুরুতে তার উপার্জন ছিল খুবই কম, এবং সংসারের খরচ বহনের দায়িত্ব ছিল তার স্ত্রী মৃদুলা ত্রিপাঠীর ওপর।পঙ্কজ ও মৃদুলার পরিচয় স্কুল জীবন থেকেই। তারা সহপাঠী ছিলেন না। মৃদুলা পঙ্কজের আত্মীয়া ছিলেন। পঙ্কজের দিদির বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রথমবার মৃদুলার সাথে তার দেখা হয়। তখন পঙ্কজ একাদশ শ্রেণিতে এবং মৃদুলা নবম শ্রেণির ছাত্রী। বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয়ের পর তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে যা ধীরে ধীরে প্রেমে পরিণত হয়।

চাঁদের মাটিতে ঘাঁটি: ভারত, রাশিয়া ও চিনের যুগ্ম মহাকাশ প্রকল্প

আট বছর  কোনো বড়  কাজ পাননি

দীর্ঘ ১২ বছর প্রেমের পর, ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে পঙ্কজ ও মৃদুলার বিয়ে হয়। বিয়ের পর মুম্বই চলে যান পঙ্কজ এবং মৃদুলা। মুম্বইয়ে গিয়ে পঙ্কজ অভিনয়ে কেরিয়ার গড়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু শুরুতে খুব একটা সফল হননি তিনি।তার স্ত্রী মৃদুলা তাকে সেই সময় পূর্ণ সমর্থন করেছিলেন।পঙ্কজ জানিয়েছেন, ২০০৪ সালে মুম্বইয়ে আসার পর আট বছর তিনি কোনো বড়  কাজ পাননি। তিনি ‘ওমকারা’, ‘বান্টি অওর বাবলি’, ‘অপহরণ’, ‘অগ্নিপথ’, এবং ‘চিল্লর পার্টি’র মতো ছবিতে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, কিন্তু মূল ভূমিকায় সুযোগ ছিল কম। এই সময়টি তার জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল।

ঘাড় ও কাঁধের ব্যথার সহজ সমাধান অফিসে বসেই করুন এই সহজ ব্যায়াম!

২০১২ সালে মুক্তি পায় ‘গ্যাঙ্গস অফ ওয়াসেপুর’ ।এই ছবি পঙ্কজ ত্রিপাঠীর  কেরিয়ার বদলে দেয়। অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেন। কিন্তু তার আগে, স্ত্রীর উপার্জন দিয়েই তাদের সংসার চলত। পঙ্কজ বলেছেন, “আমি আট বছর কোনো বড় কাজ পাইনি। মৃদুলা কখনও আমাকে বাধা দেয়নি। সে আমাকে সুযোগ দিয়েছে নিজের মতো করে সময় নিয়ে কেরিয়ার গড়ার।”পঙ্কজ আরও জানিয়েছেন, তার স্ত্রীর সহযোগিতা এবং সহানুভূতির কারণে তিনি কেরিয়ারের উন্নতি করতে পেরেছেন। মৃদুলা স্কুলে শিক্ষকতা করে প্রতি মাসে যে উপার্জন করতেন, তা দিয়েই তাদের সংসার চলত। পঙ্কজের মতে, মৃদুলা তার জীবনের শক্ত খুঁটি ছিল, যা তাকে সঠিক পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর