pakistani-citizen-caught-gurdaspur-border

ব্যুরো নিউজ ,৫ মে: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কূটনৈতিক টানাপড়েনের আবহে ফের বাড়ল উত্তেজনা। পঞ্জাবের গুরদাসপুর সীমান্তে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এক পাকিস্তানি নাগরিককে আটক করেছে বিএসএফ। ধৃতের নাম হুসনাইন, যিনি পাকিস্তানের গুজরানওয়ালা শহরের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে একটি পাকিস্তানি পরিচয়পত্র এবং ৪০ পাকিস্তানি টাকা।

কি ভাবে ধরা পড়লো

এই ঘটনা ঘটে ৩ থেকে ৪ মে-র মধ্যবর্তী রাতে। গুরদাসপুরের দরিয়া মনসুর সীমান্ত চৌকির কাছে নজরদারির সময় বিএসএফের সদস্যরা একটি ঝোপে সন্দেহজনক নড়াচড়া লক্ষ্য করেন। তল্লাশি চালিয়ে তারা খুঁজে পান ওই ব্যক্তি—যার ভারতে প্রবেশের কোনও বৈধ নথি নেই। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আটক করে স্থানীয় থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়।বর্তমানে হুসনাইন পঞ্জাব পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন এবং গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। সীমান্তে অনুপ্রবেশের কারণ জানতে তাঁকে জেরা করা হচ্ছে। যদিও এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি, তিনি একজন সাধারণ নাগরিক নাকি কোনও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিশনের অংশ ছিলেন।

ভারতের সেনা ওয়েবসাইটে পাকিস্তানের সাইবার হানা! তড়িঘড়ি ‘অফলাইন’ সিদ্ধান্ত

এই ঘটনার প্রেক্ষাপট আরও জটিল হয়ে ওঠে, কারণ এর আগে ২৩ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার ঠিক পরপরই পঞ্জাবের ফিরোজপুর সীমান্তে বিএসএফ-এর ২৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল পূর্ণমকুমার সাউ ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়েছিলেন। একটি গাছের তলায় বিশ্রাম নেওয়ার সময় তিনি পাকিস্তানি রেঞ্জার্সের হাতে ধরা পড়েন। সেই ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আলোচনাও হয়, তবে এখনও পূর্ণমকে মুক্ত করা হয়নরলএর মধ্যেই আবার গত শনিবার রাজস্থানে এক পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করে ভারতীয় বাহিনী। এর কয়েক দিনের মধ্যেই গুরদাসপুরে এই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে। সব মিলিয়ে সীমান্তে চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

পহেলগাঁও হামলার নেপথ্যে স্থানীয় স্লিপার সেলের জাল!দাবি করলেন এক প্রাক্তন কাশ্মীরি জঙ্গির

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সব ঘটনা নিছক কাকতালীয় নয়। সীমান্তে ঘন ঘন অনুপ্রবেশ, সেনা বন্দি ও সাইবার হামলা—সব মিলিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি একাধিক প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক বর্তমানে অত্যন্ত স্পর্শকাতর পর্যায়ে রয়েছে। ফলে প্রতিটি ঘটনা এখন বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হুসনাইনের ভারতে প্রবেশের উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়। তাঁর কাছ থেকে কোনও অস্ত্র বা বিপজ্জনক সামগ্রী পাওয়া যায়নি, তবে তদন্ত চলছে আরও গভীরভাবে। যদি প্রমাণিত হয় যে তিনি গুপ্তচর বা সন্দেহজনক কার্যকলাপে যুক্ত, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তৈমুরের ‘আদিপুরুষ’ অভিজ্ঞতা: বাবার রাবণ লুকে হতাশ, দিল তিব্র প্রতিক্রিয়া

সীমান্তে এই ধরনের বারবার অনুপ্রবেশের ঘটনা ভারতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও কড়া হতে বাধ্য করছে। বিএসএফ ও অন্যান্য সংস্থাগুলি ইতিমধ্যে নজরদারি বাড়িয়েছে এবং বিভিন্ন চৌকিতে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।এই ঘটনার ফলে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল, সীমান্ত বরাবর নজরদারির প্রয়োজন কতটা জরুরি। কারণ, যে কোনও মুহূর্তে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে, যদি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সামান্য ঢিলেও থাকে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর