পাকিস্তানের ক্রিকেটে ব্যর্থতার ছায়া: ভারতকে হারিয়ে কোহলি প্রমাণ করলেন নিজের অবস্থান

ব্যুরো নিউজ,২৪ ফেব্রুয়ারি:ম্যাচ শেষে পাকিস্তানের অধিনায়ক মহম্মদ রিজ়ওয়ান হতাশ মুখে গ্লাভস খুলে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁর চোখে যেন একটা প্রশ্ন ছিল—‘কীভাবে হারলাম আমরা?’ রানে না থাকা একজন ব্যাটারের সামনে পাকিস্তান ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে, এবং সেই ব্যাটারটি ছিল বিরাট কোহলি, যিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাই ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতি পাকিস্তানের ক্রিকেটে নতুন কিছু নয়। এক সময়ের উজ্জ্বল পাকিস্তান দল আজ অনেকটাই দিশাহীন হয়ে পড়েছে।

ভারত-পাক ম্যাচে পাক স্লেজিংএর পরও কোহলির শান্ত ও দৃঢ় মনোভাব কোহলির আগ্রাসন নিয়ন্ত্রণের দুর্দান্ত উদাহরণ

ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজের দীর্ঘ বিরতি

ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজের দীর্ঘ বিরতি, পাশাপাশি পাকিস্তানের মাটিতে ভারতের খেলা না হওয়া—এই বিষয়গুলো ক্রমশ ভারতের কাছে সুবিধাজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ধরনের ম্যাচের দিকে সমর্থকদের চোখ থাকে, কিন্তু পাকিস্তানের ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, ভবিষ্যতে এই লড়াই কতটা ক্রিকেটীয় হবে, তা সন্দেহের।১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তান বিশ্বকাপ জিতেছিল। এরপর ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি—এমন সব আইসিসি ট্রফি পাকিস্তানের ঝুলিতে ছিল।

কিন্তু বর্তমানে পাকিস্তান দল কি আসলেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মানসিকতা নিয়ে খেলছে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ম্যাচ শেষে রিজ়ওয়ান বলেন, “টস জিতলেও আমরা সুবিধা নিতে পারিনি। ভারতের বোলাররা দুর্দান্ত বল করেছে। শেষ পর্যন্ত আমরা ভালো শট নিতে পারিনি, যা আমাদের হারিয়ে দিয়েছে। আমাদের ফিল্ডিং আরও উন্নত করতে হবে।”পাকিস্তান দলের মধ্যে সাম্প্রতিক গণ্ডগোলের ছাপ স্পষ্ট। একদিকে, পাকিস্তান দলের অধিনায়ক বাবর আজ়মের অনুশীলনে অনুপস্থিত থাকা, অন্যদিকে দলের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বার বার পরিবর্তন—সব কিছু মিলিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অস্থিতিশীলতা বড়ো ধরনের প্রশ্ন তুলেছে।

কোহলির সেঞ্চুরিতে ভারতের জয়ঃ পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ভারত

বাবরের অনুশীলন না করার ঘটনা আরও একবার প্রশ্ন তৈরি করেছে, ‘একটি দেশের ক্রিকেট দলের অধিনায়ক এমনকি আইসিসি ম্যাচের আগে অনুশীলন না করলে, তা কীভাবে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারে?’ একটি দেশ যখন বিশ্বমঞ্চে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে চায়, তখন তাদের খেলোয়াড়দের প্রতি কমিটমেন্ট এবং কঠোর পরিশ্রম প্রয়োজন, যা পাকিস্তান দলের মধ্যে এখন আর লক্ষণীয় নয়।এখন পাকিস্তান দলের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, পাকিস্তান ক্রিকেট দলের মধ্যে সঠিক দিকনির্দেশনা এবং মনোভাবের অভাব রয়েছে, যা তাদের পরবর্তী ক্রিকেটীয় অভিযানে বড়ো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।